তারা ভোটের দিন নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করতে পারে: ড. মাসুদ 

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২৫, ১৬:২৩

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জাতির প্রধান প্রত্যাশা ছিল সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। অথচ তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষা না বুঝে একটি নির্দিষ্ট দলের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে পড়েছেন। যা ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের চেতনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, জাতীয় ঐক্য বিনির্মাণে জাতি আপনাদের কাছ থেকে আরও ইতিবাচক ভুমিকা প্রত্যাশা করে। 

মঙ্গলবার ( ১৭ জুন)  বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করে না বরং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের আন্দোলন করে। ক্ষমতা দখল করা জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা দখলের জন্য প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতো জামায়াত কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ অন্যায়কারীকে লালন-পালন ও প্রশয় দেয় না। জামায়াতে ইসলামী সৎ, যোগ্য ও আদর্শিক মানুষ গঠনের মাধ্যমে মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করে যাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের বন্ধু সংগঠনের কেউ কেউ নির্বাচনের আগেই নিজেরা ২৮০ আসন পাবে বলে দাবি করছেন। সংসদে কোন রাজনৈতিক দল কোন অবস্থানে থাকবে সেটি জনগণের ভোটেই নির্ধারিত হবে। তবে যারা ভোটের আগেই নিজেরা ২৮০ আসন পেয়ে এককভাবে সরকার গঠন করবে বলে দাবি করছে, তাদের এমন দাবি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আশঙ্কা তৈরি করছে। জাতি শঙ্কিত, তারা ভোটের দিন নিজেরাই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করতে পারে। তিনি ক্ষমতার জন্য পাগল না হয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশ গঠনে মনোযোগী হতে উদাত্ত আহ্বান জানান।    
 
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারী আতিকুর রহমান বলেন, ভোটের রাজনীতি করার কারণেই এদেশের শ্রমিকেরা বারবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছে, ধোঁকা খেয়েছে। তারা শ্রমিকদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে ক্ষমতায় গিয়ে শ্রমিকদের শোষণ করেছে। শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে হলে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে শ্রমিকদের এগিয়ে আসতে হবে।