দুর্নীতিতে জড়ালে বিএনপি করতে পারবেন না: জি কে গউছ

প্রকাশ | ২২ জুন ২০২৫, ১৬:৪৯

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

দুর্নীতিতে জড়ালে বিএনপি করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র জি কে গউছ।
তিনি বলেছেন- তৃণমূলই হচ্ছে বিএনপির প্রাণ। দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা বিভিন্ন সময়ে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই যড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই হলো বিএনপির চালিকা শক্তি। তৃণমূল সংগঠিত হলে বিএনপিকে কেউ রুখতে পারবে না। 

তিনি গতকাল শনিবার (২১ জুন) শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় সভাটি শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত। পৌনে ৯ ঘন্টা ব্যাপী অনুষ্ঠিত সভায় ৬৪ জন বক্তার বক্তব্য শোনেন জি কে গউছ। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত ধরে হবিগঞ্জে এই প্রথম ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিনিধি সভার প্রচলন শুরু করলেন।

সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- ‘বিএনপি আর আওয়ামী লীগ এক জিনিস নয়। বিএনপি জনগণকে নিয়ে এই দেশে বসবাস করতে চায়। বিএনপির পালিয়ে যাওয়ার কোনো ইতিহাস নেই। 
আমরা আওয়ামী লীগের নির্যাতন সহ্য করেছি, অসংখ্য মিথ্যা মামলায় আসামি হয়েছি, জেল খেটেছি। আমরা জেল থেকে জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আবারও জনগণের মধ্যে ফিরে এসেছি।’

তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ যে অন্যায় করেছে, মানুষের ওপর যে জুলুম করেছে, সেই কাজ বিএনপি নেতাকর্মীদের করার সুযোগ নেই। বিএনপি করতে হলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য যে কাজগুলো করার প্রয়োজন তা করতে হবে।

তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান বার বার বলেছেন এবং বলে যাচ্ছেন, দুর্নীতি অন্যায় আর বিএনপি এক সঙ্গে চলবে না। 
দুর্নীতির সঙ্গে নিজেকে জড়ালে আপনারা বিএনপি করতে পারবেন না, আপনি যে পর্যায়ের নেতাই হউন। আপনি গুলি খেয়েছেন, জেল কেটেছেন, এর মানে এই নয়, মানুষ কষ্ট পায় তেক্ত-বিরক্ত হয় আপনি এমন কাজ করবেন, যা দল বরদাস্ত করবে না। কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় বিএনপি নেবে না।’ 

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু তাহেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, 
অ্যাডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম ও এনামুল হক, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি ফরিদ আহমেদ অলি, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, 
সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আফজাল হোসেন, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুল ইসলাম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল করিম, নিজাম উদ্দিন বেলাল, আব্দুল আজিজ ফরহাদ, আব্দুল হাই, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ফারুক, 
উস্তার খান, মিজান উদ্দিন মোহন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন, আব্দুল শহিদ, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল আহমেদ, সদস্য সচিব সফিকুর রহমান সিতু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ইলিয়াছ মিয়া, নুরুল ইসলাম এংরাজ, সাইফুল ইসলাম,
 হুমাইয়ুন কবির, আছকির মিয়া, সেলিম আহমেদ, সাওয়ার আহমেদ, ছোটু মিয়া, হাসানুর রহমান ইনু, মিজানুর রহমান সুমন, রাকিবুল হোসেন সান্টু, শাহ আলম, কামরুল ইসলাম সোহেল, কামরুল ইসলাম তালুকদার, গোলাম সারওয়ার পলাশ, আব্দুল্লাহ পাবেল, খলিলুর রহমান মাসুম, মর্তুজ আলী, 
মহরম আলী, আছকির মিয়া, আব্দুর রহিম, জিতু মিয়া, আব্দুল আজিজ, দুদন মিয়া, সালাম মিয়া, ফারুক মিয়া, হাজী সাহেব আলী, লেবু মিয়া, আছকির মিয়া চৌধুরী, আরাফাত আলী, 
লুৎফুর রহমান, জহুর মিয়া, হাজী সবুজ মিয়া, মাওলানা আবু তাহের, সাইফুল ইসলাম, দুর্গজ মিয়া, ফারুক মিয়া, নুরুল আমিন, আমিনুল ইসলাম, ইমান উদ্দিন, আব্দুর রহিম, আব্দুল করিম, আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।