৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান’ ও ‘জুলাই শহীদ’ দিবস ১৬ জুলাই
‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত
প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২৫, ১৪:৩৯ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫, ১৪:৪৬

আগামী ১৬ জুলাই জুলাই শহীদ দিবস পালিত হবে এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ৫ আগস্ট উদযাপন করা হবে। ৮ আগস্টের জন্য কোনো বিশেষ উদযাপন থাকবে না।
আজ রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রোববার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য জানান।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, উপদেষ্টা পরিষদ ১৬ জুলাই শহীদ দিবস এবং ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে গত (২৫ জুন) ৮ আগস্টকে নতুন বাংলাদেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল সরকার। এছাড়া গণআন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে ছাত্র আবু সাঈদের নিহত হওয়ার দিন ১৬ জুলাইকে শহীদ আবু সাঈদ দিবস এবং ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছিল। তিনটি দিবস ঘোষণা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আলাদা পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছিল, সরকার ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রতিবছর এ তারিখকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত ‘খ’ শ্রেণিভূক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্তটি যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়,বিভাগ ও সংস্থাকে বলা হয়েছে।
অন্য এক পরিপত্রে বলা হয়, সরকার ১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রতিবছর এ তারিখকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত ‘খ’ শ্রেণিভূক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরেক পরিপত্রে বলা হয়েছিল, সরকার ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্রতিবছর এ তারিখকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থাকে বলা হয়েছে।