তারেক রহমানের ‘চাচাতো ভাই’ পরিচয়ে দলীয় পদ বাগিয়ে দেওয়ার আশ্বাস
ভুয়া ব্যারিস্টার ডিবির হাতে ধরা
প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫১

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘চাচাতো ভাই’ পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরের মাটির মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শামীম রহমান (৩৩) বগুড়া শহরের নিশিন্দারা কারবালা মহল্লার মৃত লিল মিয়ার ছেলে। তিনি এসএসসি পাস না করেও নিজেকে ব্যারিস্টার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন।
বুধবার রাতে প্রতারণার অভিযোগে শামীমের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী হারুন-উর রশিদ।
মামলার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, কিছুদিন আগে ঢাকার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষীদের পরিচয় হয়। কথাবার্তার একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি নিজেকে তারেক রহমানের ‘চাচাতো ভাই’ এবং ব্যারিস্টার শামীম রহমান পরিচয় দিয়ে জানান, তিনি ঢাকায় থাকেন এবং দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তিনি পদ-পদবি দিতে পারবেন বলে আশ্বাস দেন। পরে ২২ জুন বিকেল সাড়ে ৫টায় সেই নম্বর থেকে ফোন দিয়ে সাক্ষী ইমরান হোসেন ও গোলাম রব্বানী জায়েদাকে বগুড়া শহরের মম-ইন কফি শপের সামনে যেতে বলেন। সেখানে দেখা করে তিনি ইমরান হোসেনের কাছে কেন্দ্রীয় যুবদলের পদ পাইয়ে দেওয়ার নামে ২ লাখ টাকা এবং গোলাম রব্বানীর কাছে জেলা যুবদলের পদ দেওয়ার নামে ১ লাখ টাকা দাবি করেন। আলাপচারিতার একপর্যায়ে সাক্ষীরা তাকে মোট ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন।
পরে বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে তারা জানতে পারেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এমন কোনো আত্মীয় নেই এবং ওই নম্বরধারী ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় একই কৌশলে প্রতারণা করে আসছেন। কখনো নেতাকর্মীদের, আবার কখনো প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ফোন ও মেসেজ দিয়ে পদ-পোস্টিংয়ের আশ্বাস দিয়ে অর্থ আদায় করতেন তিনি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম রহমান প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে বিএনপির প্রভাবশালী আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আসছিলেন বলে স্বীকার করেন। তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।