শঙ্কাই সত্যি হলো। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়াই সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে মাঠে নেমেছে পর্তুগাল। তাকে প্রথম একাদশে রাখেননি কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। রাত একটায় দুই দল লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে।
কেন নেই রোনালদো?
গণমাধ্যমে এসেছে, গ্রুপের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে হেরে যায় পর্তুগাল। সেই ম্যাচে রোনালদোকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সান্তোস। সেই সময় ৩৭ বছরের রোনালদো যে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন, তা ভালো ভাবে নেননি কোচ। সেই ম্যাচে মাঠ থেকে বেরোনোর সময় মুখে আঙুল দেখান সিআরসেভেন। কোচের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এবার তাকে একাদশ থেকে জায়গা হারাতে হলো।
হেড টু হেড
পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ড প্রতিযোগিতামূলক খেলায় ছয়বার মুখোমুখি হয়েছে। দুই দলই জিতেছে তিনটি করে ম্যাচ। মেজর প্রতিযোগিতায় এর আগে কেবল একবারই খেলেছে দুই দল। ২০০৮ সালে ইউরোর সেই ম্যাচে পর্তুগালকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল সুইজারল্যান্ড। চলতি বছর দুই দল তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। ইউয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে গত জুনে লিসবনে পর্তুগাল ৪-০ গোলে হারায় সুইজারল্যান্ডকে। এর আগের সপ্তাহে জেনেভাতে সুইসরা জেতে ১-০ গোলে।
কে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে?
২০০৬ বিশ্বকাপের পর পর্তুগাল শেষ ষোলোর বাধা পেরোতে পারেনি আর। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়া দলটি কি এবার যেতে পারবে কোয়ার্টার ফাইনালে?
শেষ আটে যেতে তাদের হারাতে হবে আত্মবিশ্বাসী সুইজারল্যান্ডকে। তবে রেকর্ড তাদের পক্ষে কথা বলছে না। দুই জয় নিয়ে শেষ ষোলোতে পা রাখা সুইসরা কখনো তিন ম্যাচ জিততে পারেনি বিশ্বকাপে। ১৯৫৪ সালে আয়োজক হিসেবে সর্বশেষ তারা কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল। এরপর তিনবার সুযোগ পেয়েও শেষ ষোলোর বাধা পেরোতে পারেনি।
যাযাদি/ সোহেল