মাদারীপুরের শিবচরে বাস দূর্ঘটনা

এমএস সার্টিফিকেট নিয়ে গোপালগঞ্জ ফেরা হলো না আফসানার

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৫:১৩

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস সার্টিফিকেট নিয়ে ফেরা হলো না গোপালগঞ্জের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমি’র(২৬)। সে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগ থেকে এমএস করেছেন। এই সার্টিফিকেট আনাই যেন কাল হলো আফসানার। রোববার সকালে মা কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনের কাউন্টার থেকে আফসানাকে ইমাদ পরিবহনের বাসে উঠিয়ে দেন। তার ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এমএস সার্টিফিকেট নিয়ে আবার গোপালগঞ্জ ফেরার কথা ছিলো।

আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোট বেলাই আফসানার বাবা মারা যান। অনেক কষ্টে মা কানিজ ফাতেমা মেয়ে আফসানা ও রুকাইয়া ইসলাম রূপার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন ।

পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের এই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে গোপালগঞ্জের আফসানা মিমিসহ ৭ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বাকি ৬ জন হলো, গোপালগঞ্জ শহরের সামচুল হক রোডের মাসুদ আলমের মেয়ে সুরভী আলম সুইটি (২২), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অনাদী রঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপার ভাইজার মানিকদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস (৪০), দূর্ঘটনা কবলিত বাসের ড্রাইভার জাহিদ (৪৫), সদর উপজেলার বনগ্রামের সামসুদ্দিন শেখের ছেলে মোস্তাক শেখ (৪০) এবং মুকসুদপুরের আদমপুর গ্রামের আনজু খানের ছেলে মাসুদ খান (৩০)। 

পরিবহন ম্যানেজার সূত্রে জানাগেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৪ জন যাত্রী উঠেন। তবে, তারা নিশ্চিত করতে পারেননি এর মধ্যে কতজন মারা গেছেন।

যাযাদি/ এস