টুকু মিয়ার স্বপ্ন শেষ দৃর্বৃ্ত্তদের বিষে... 

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২৭

পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

মুকুল মিয়া ওরফে টুকু মিয়া এলাকার বিত্তবানদের পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে জীবন অতিবাহিত করে আসছিলেন দির্ঘদিন ধরে ২ টি ছেলে রয়েছে এই টকু মিয়ার। বাবার সাথে ছোট ছেলেও মাছের দেখভাল করে আসছে। টুকু মিয়া ধারদেনা করে বছরের এই সময়ে মাছ চাষ শেষ করে দেনা পরিষদ করেন সেই সাথে ছেলে সংসার নিয়ে একটু ভাল থাকেন। 

দির্ঘ ১০-১২  বছর ধরে পাশ্ববর্তী পুইজোর গ্রামের মিজান মন্ডলের মৌরাট ইউনিয়নের র্প্বূ বাগদুলী মাঠের মধ্যে থাকা পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন টুকু মিয়া, মঙ্গলবার মধ্য রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে ওই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে কতিপয় দুস্কৃতিকারীরা। বিষয়টি রাতেই বঝুতে পেরে টুকু মিয়া পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখদে পান তার পুকুরে বিষ (বোমা) প্রয়োগ করা হয়েছে, সেই সাথে পুকুরের পাশে পুইজোর গ্রামের মালেকের ছেলে মন্টুকে দেখতে পান। 

পুকুরে কে বিষ দিয়েছে এ বিষয়ে টুকু মিয়া ও স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করেন পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরেছে পুইজোর কুঠিপাড়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মতিন ও মালেক। বিষয়টি রাতেই মতিন খালেকের দুলাভাই আবু তাহেরকে অবগত করানো হয়। সেই সাথে বিষয়টি তৎক্ষনিক প্রমানিত হয় বলে টুকু মিয়া জানান । এ বিষয়ে ওই পুকুরে থাকা প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকার মাছ ধংষ¦ হয়েছে বলে তার ধারনা। 

মঙ্গলবার দুপুরে সরে জমিনে ওই পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখাযায় পুকুরে অসংখ্য মরা মাছ ভাসছে, আর টুকু মিয়া বিলাপ করছে আমার সব শেষ সারা বছরের কষ্ঠ আমার শেষ হয়ে গেলে আমি এখন কি কবর। এ ব্যাপারে টুকু মিয়া আইনের আশ্রায় নিবেন বলে জানান। 

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলেন টুকু মিয়ার সংসার চলে এই মাছের চাষ দিয়ে সে সারা বিলে ধানি পোনা ছেড়ে রাখে স্থানীয়রা বিলের মাছ মেরে খায় আর বিলের মধ্যে থাকা পুকুর লীজ নিয়ে মাছ চাষ করায় তার প্রধান পেশা দির্ঘ ১০-১২ বছর ধরে তিনি এ কাজ করে আসছেন। তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এ ঘটনার সঠিক বিচার কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ টুকু মিয়ার পরিবার। 
 
পুকুরের প্রকৃত মালিক (যার জমি) পুইজোর গ্রামের মিজান মন্ডল বলেন আমাদের এই পুকুর প্রায় ১০ বছর ধরে আমরা লীজ দিয়ে থাকি এই টুকু মিয়ার কাছে সে যখন মাছ মারা হয় তারপর এই পুকুরের পানি শ্যালোমেশিন দিয়ে পাশের খালে দিয়ে দেয় আর আমাদের বিলের মধ্যে জমে থাকা পানি পুকুরে চলে যায় যে কারণে এই জমি দ্রত চাষের উপযোগী হয় আর এখানে আগে আগেই পিয়াজ লাগানো যায়। এটা ব্যাক্তিগত ভাবে সকল কৃষক উপকৃত হয় টুকু মিয়ার জন্য। আজ যে ক্ষতি হয়েছে তার এ বিষয়ে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি সেই সাথে দোষীদের দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি। 

যাযাদি/ এস