শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শঙ্কিত তাসনুভা তিশা
নাটকে সিন্ডিকেটের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি সেটা হয়ে উঠেছে ব্যাধির মতো। নাটকের শুটিংয়ে পরিচালক কিংবা প্রযোজক নয়, যাবতীয় সিদ্ধান্ত আসে নায়কের কাছ থেকে। এমনও শোনা যায়, নাটকে নায়কেরা নিজেই তাদের পছন্দমতো নায়িকা ঠিক করে দেন। সহশিল্পী তাদের ইচ্ছামতো না হলে শিডিউল দেন না। এবার ছোট পর্দার নায়কদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। তিশা অভিযোগ করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নাটকের সবকিছু নায়কদের সিদ্ধান্তেই হচ্ছে। এমনকি তিনিও শিডিউলের জন্য পরিচালক নয়, নায়কদের কাছ থেকে ফোন পান। তাসনুভা তিশা বলেন, 'মেকআপ আর্টিস্ট, ডিওপি, লাইটে কাকে নিবে, শুটিং কোথায় হবে, গল্প কী হবে, মায়ের চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, বাবার চরিত্রে কে থাকবেন- নাটকের সবকিছু নায়কেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বা ঠিক করে দিচ্ছে। এটা তো তাদের কাজ নয়, পরিচালকের কাজ। গল্পের চরিত্রের প্রয়োজনে যাকে ভালো মনে করবেন, তাকেই পরিচালক ডাক দেবেন। কিন্তু আমাকে কলটা দিচ্ছেন নায়কেরা।' অভিনেত্রী মনে করেন, নায়কদের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলেই তারা স্বেচ্ছাচারিতা করার সুযোগ পাচ্ছেন। তিশা বলেন, 'আমার কাছে মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন হচ্ছে, কারণ তাদের কাছে সেই ক্ষমতাটা দেওয়া হয়েছে। এটা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঠিকভাবে কাজ করতে পারব না।' ইন্ডাস্ট্রির এমন অবস্থায় ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত এই অভিনেত্রী। তিশা বলেন, 'এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কাজ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। প্রতিদিন আমার মনে হয় অন্যকিছু নিয়ে ভাবা উচিত। অন্য কোনো ক্যারিয়ার হয়তো বেছে নিতে হবে, এভাবে কাজ করা যায় না। যাদের নূ্যনতম আত্মসম্মানবোধ আছে, তাদের তো গায়ে লাগার কথা। আমার চাওয়া, পরিচালকই আমার শিডিউল নেবেন, তিনিই গল্প নির্বাচন করবেন। নায়ক কেন এসব বিষয়ে মাথা ঘামাবে। চিত্রনাট্যে যা লেখা আছে, সে সংলাপই বলা উচিত। গল্পের প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে হলে সেটা আলোচনা করে করতে হবে। কেন নায়কের সিদ্ধান্তেই সব হবে! অভিনেত্রী হিসেবে এই বিষয়গুলো আমার আত্মসম্মানে আঘাত করে, মন খারাপ হয়।'
১৬ মার্চ, ২০২৫

তিশা ও সজলের জন্মদিন আজ
অভিনেত্রী ও মডেল নুসরাত ইমরোজ তিশা। অসাধারণ অভিনয় দক্ষতায় দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ছোট ও বড় দুই পর্দাতেই সমানতালে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। নাটক ও চলচ্চিত্র দুই জায়গাতেই তিনি সমান জনপ্রিয়। সাবলীল অভিনয়গুণেই তিনি তার এ অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে অভিনয় থেকে একটু দূরেই রয়েছেন তিশা। আজ তার জন্মদিন। ১৯৮২ সালে ২০ ফেব্রম্নয়ারি রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে, রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। তিশা ১৯৯৫ সালে 'নতুন কুঁড়ি' প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। টিভি নাটকের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু। যদিও গান দিয়ে শুরু হয়েছিল তার পথচলা। তিনিসহ রুমানা, নাফিজা ও কণা এ চারজন গঠন করেন ব্যান্ড দল অ্যাঞ্জেল ফোর। কিন্তু সে ব্যান্ড দলটি বেশিদূর এগোতে পারেনি। ১৯৯৮ সালে 'সাত প্রহরের কাব্য' নাটক দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় তার অভিষেক হয়। নাটকটি রচনা করেন অনন্ত হীরা আর পরিচালনা করেন আহসান হাবীব। এরপর আর তাকে পেছনের দিকে তাকাতে হয়নি। একের পর এক অনেক জনপ্রিয় নাটক দর্শককে উপহার দিয়েছেন। তিশার উলেস্নখযোগ্য নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে- নুরুল হুদা একদা ভালোবেসেছিল, অরণ্যে জ্যোৎস্না, লাইফ, পূর্ণদৈর্ঘ্য, এলোমেলো মন, মুনিরা মফস্বলে, ঈদের টিকিট, আরমান ভাই, আরমান ভাই কয়া পারছে, আরমান ভাই ফাইস্যা গেছে, আরমান ভাই বিরাট টেনশনে, আরমান ভাই দি জেন্টেলম্যান, আরমান ভাই হানিমুনে, মিথু্যক। তিশা সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। দর্শকের বেশ প্রশংসাও পেয়েছেন। ২০১৬ সালে তার অভিনীত দুটি বাণিজ্যিক সিনেমা মুক্তি পায় 'অস্তিত্ব' ও 'ওয়েটিং রুম'। অস্তিত্ব সিনেমায় তিনি একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করেন। অনন্য মামুন পরিচালিত এ সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন আরিফিন শুভ। এ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ৪১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৭ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'ডুব' সিনেমায় একজন স্বনামধন্য পরিচালকের কন্যা চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন। একই বছর তিনি 'হালদা নদী' নিয়ে সচেতনতামূলক হালদা সিনেমায় হাসু চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করেন। এছাড়া, 'থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার', 'টেলিভিশন'সহ আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিশা। তিনি মেরিল লিপজেলের বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের মাধ্যমে মডেল হিসেবে যাত্রা করেন। এরপর একে একে কোকা-কোলা, সিটিসেল আর কেয়া সাবানের বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেন। তার অভিনয় দক্ষতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ মেরিল-প্রথম আলো, চ্যানেল আই, এনটিভি ও আরটিভি স্টার পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১০ সালে তিনি টিভি ও চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এদিকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আব্দুন নূর সজলেরও জন্মদিন আজ। ১৯৮৪ সালের ২০ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকার মিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বেড়ে উঠেছেন শহরেই। পড়াশোনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায়প্রশাসন বিভাগে। তবে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিনয়কে। রোমান্টিক, কমেডি কিংবা সিরিয়াস গল্পের নাটকেও অনবদ্য অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। সজল অভিনীত প্রথম সিনেমা তন্ময় তানসেন পরিচালিত 'রান আউট'। এরপর বাণিজ্যিক ধারার আরো একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন সজল। নাম 'হারজিৎ'। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বদিউল আলম খোকন। সর্বশেষ সজল অভিনয় করেছেন নাদের চৌধুরীর পরিচালনায় 'জ্বীন' নামের একটি সিনেমায়। রাত ১২টা থেকেই সজলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছেন তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। জন্মদিনটা খুব সাধারণভাবেই কাটাতে পছন্দ করেন সজল। সজল প্যাকেজ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ২০০৬ সালে ছোট পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। এরপর থেকেই নিয়মিতভাবে টিভি নাটকে কাজ করে যাচ্ছেন। অভিনয় করেছেন সারিকা, জাকিয়া বারী মম, তিশা, মিম, সুমাইয়া শিমু, শখ, মেহজাবিন, বিন্দু ও অপি করিম থেকে শুরু করে হালের অনেক তারকার সঙ্গেই। এখনো এগিয়ে চলেছেন। তার একটাই ইচ্ছে আজীবন অভিনয় করে যেতে যান তিনি।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বিয়ে করাটাই সবচেয়ে বড় ভুল :তাসনুভা তিশা
বর্তমান সময়ে ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। ব্যক্তিজীবনে ভালোবেসে ২০১৪ সালে ফারজানুল হককে বিয়ে করেন তিনি। সেই সংসারে ছিল তার একটি কন্যা ও পুত্রসন্তান। তবে বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ভেঙে যায় অভিনেত্রীর সংসার। ২০১৮ সালেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তিশা। সিঙ্গেল মাদার হিসেবে কয়েক বছর থাকার পরে ২০২২ সালে আজগর নামের এক যুবককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। দুজনের পরিচয়ের মধ্যে থেকেই সেই সম্পর্ক বিয়েতে রূপ নেয়। বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার, পাশাপাশি অভিনয়টা চালিয়ে গেলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাসনুভা তিশা বললেন, বিয়ে করাটাই সবচেয়ে বড় ভুল। অভিনেত্রী বলেন, আমার মনে হয়, বাচ্চাদেরও আমি বিয়ে দেব না। মানে, তাদেরকে বিয়ের জন্য চাপ বা উৎসাহ দেব না। তবে যদি তারা নিজ থেকে কখনো বিয়েতে আগ্রহ হয় সেখানে আটকাব না। তিশা আরও বলেন, বিয়ে বিষয়টা অনেক বড় বিষয়। এটা একটা দায়িত্ব। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য, তাদেরকে অন্য একটা পরিবারে যেতে হয়। অন্য একটা পরিবেশে মানিয়ে নিতে হয়। যদি আমার সন্তানরা সেটা করতে চায়, তাহলে আমার আপত্তি নেই। তবে আমি তাদেরকে বিয়ের জন্য উৎসাহ দেব না। বাকিটা তাদের ইচ্ছা। বর্তমানে তিশাকে অভিনেতা আরশ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক নাটকে কাজ করতে দেখা গেছে। যে কারণে তাদেরকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। তবে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, আরশের সঙ্গে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। একসঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করছেন বলেই বিভিন্ন গুজব ছড়িয়েছে।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তাসনুভা তিশার
শুটিংয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে লুকিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেছেন এক যুবক, বুধবার মধ্যরাতে ফেসবুক লাইভে এসে এমনই অভিযোগ তুললেন অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। নিজের ফেসবুক থেকে লাইভে এসে 'কাউসার'স কিংডম' নামের একটি ফেসবুক পেজ এবং ওই পেজের কর্ণধারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিশা। তিনি বলেন, 'কিছুক্ষণ আগে এক ব্যক্তির ছবি দিয়ে একটি পোস্ট করেছি। তিনি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। চার-পাঁচ দিন আগে নবাবগঞ্জে আমাদের শুটিং ছিল। বাপ্পি খানের পরিচালনায় একটি নাটক করছিলাম। সেখানে অনেক সাংবাদিক এসেছিলেন। আমার ও আমার সহশিল্পী আরশ খানের সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে উনি ছিলেন। আমি ভেবেছিলাম তিনি সাংবাদিক।' তিনি বলেন, 'কিন্তু এই লোক সাংবাদিক তো দূরের কথা, তিনি আদৌ মানুষ কিনা, আমার সন্দেহ। কারণ তিনি লুকিয়ে বিভিন্ন অভিনেত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করেন, যেটা আমারও করেছেন। সেটির ভিউ ২ দশমিক ১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে গেছে এবং নামানো সত্ত্বেও অনেকের কাছে আছে।' ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিশা বলেন, 'আউটডোর শুটিংয়ে, আমরা যারা অভিনেতা-অভিনেত্রী, আমাদের লেপেল পরার আলাদা কোনো জায়গা থাকে না। নিজেদের মতো করে পরতে হয়। আমি খোলা মাঠে শুটিং করছিলাম। সামনে সাংবাদিকরা ছিলেন। ভেবেছিলাম, সাংবাদিক ভাইয়েরা কখনো এমন কাজ করবেন না। তাই আমার মতো করে লেপেল পরছিলাম এবং ঠিক করছিলাম। সেই ভিডিও সে ধারণ করে 'কাউসার কিংডম' নামের এক পেজে আপলোড করেন। বিস্ময় প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন, 'কতটা বিবেকহীন ও শিক্ষার অভাব হলে মানুষ এ ধরনের কাজ করে! এ ধরনের কিছু ব্যক্তি আছেন যারা নিজেদের সাংবাদিক বলে দাবি করেন, কিন্তু তারা আসলে সাংবাদিক নন। একজন অভিনেত্রী হিসেবে আমি এই লোকের বিরুদ্ধে অবশ্যই অ্যাকশন নেব। তিনি কোনো শুটিং স্পটের আশপাশে যেন কখনো না আসেন। তাকে বয়কট করা উচিত।' তিশা যোগ করেন, 'হয়তো বলার সঙ্গে সঙ্গে আমার ভিডিও নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু তার পেজে শুধু আমি না, আরও অনেক অভিনেত্রীর ভিডিও আছে, যেগুলো তিনি লুকিয়ে ধারণ করেছেন। লুকিয়ে ধারণ করে আপত্তিকর ভিডিও পেজে পোস্ট করেন। সেখানে সারিকা সাবাহ আপু, অর্চিতা স্পর্শিয়া, তানিয়া বৃষ্টি, কুসুম শিকদার আপুর ভিডিও দেখেছি।' এ সময় নাম উলেস্নখ করে তাসনুভা তিশা বলেন, 'কাউসার নামের এই লোক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হয়তো সবার মাঝে যান, গিয়ে এসব কার্যকলাপ করেন। আমি সাংবাদিক ভাইদের উদ্দেশে বলব, আপনাদের নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে করণীয় কিছু আছে। আমার কলাকুশলী, যারা আছেন, অভিনেত্রী-অভিনেতারা, যাদের নাম মেনশন করলাম, আপনারা এই বিষয়ে পরামর্শ দিন, জানাবেন কি করা উচিত?' গব শেষে বলেন, 'এই লোকের বিরুদ্ধে আমি অ্যাকশন নিতে চাই। সে যেন সাংবাদিকতা তো দূরের কথা, কোনো শুটিং স্পট, কোনো অনুষ্ঠান, মিডিয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আশপাশে যেন না আসতে পারে। তাকে বয়কট করা হোক।' এর আগে তিশা নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে দেখা যায় এক ব্যক্তির দুটি ছবি এবং 'কাউসার'স কিংডম' নামের একটি পেজের স্ক্রিনশট। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পেজের কর্ণধার কাউসার। ক্যাপশনে তিশা লেখেন, 'দয়া করে কেউ এই লোককে চিনে থাকলে তার বিস্তারিত দিন। আমি লাইভে আসছি ১০ মিনিটের মধ্যে। অসম্ভব বাজে একটা ঘটনা ঘটেছে। বলছি পুরোটা। দয়া করে আমাকে শুনুন!' এরপরই লাইভে আসেন তিশা।
২১ নভেম্বর, ২০২৪

ওটিটিতে স্বাচ্ছন্দ্য তাসনুভা তিশা
নাটকের পরিচিত মুখ তাসনুভা তিশা। নাটক, টেলিফিল্মের পাশাপাশি অনলাইন পস্ন্যাটফর্মের জন্য নির্মিত বিভিন্ন ওয়েব সিরিজেও রয়েছে এ অভিনেত্রীর ব্যস্ততা। জানা গেল, তাসনুভা অভিনীত 'সেকশন ৩০২' নামে একটি ওয়েব সিরিজ গতকাল মুক্তি পেয়েছে। অনলাইন পস্ন্যাটফর্মের পেইড ভার্সন বঙ্গতে মুক্তি পেয়েছে এটি। এখানে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথমবার পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী। 'সেকশন ৩০২' নির্মাণ করেছেন রিয়াদ মাহমুদ। তিনি বলেন, 'এটা মূলত মার্ডার মিস্ট্রি ধাঁচের গল্প হলেও কমেডি আছে, যা দর্শকের কাছে প্রকল্পটিকে আরও উপভোগ্য করে তুলবে। শেষ পর্যন্ত দেখার আগে আপনি কখনোই জানবেন না কে আসল অপরাধী। এ ছাড়া এখানে অভিনয়শিল্পীদেরও নতুনভাবে আবিষ্কার করবেন দর্শকরা। যেমন তাসনুভা তিশাকে আগে পুলিশ চরিত্রে দেখা যায়নি। নাটক টেলিফিল্মে নিয়মিত কাজ করলেও ওটিটি পস্ন্যাটফর্মের কাজেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তাসনুভা তিশা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ওটিটির কাজে ভালো গল্প, ভালো কনটেন্ট ও ডিফারেন্ট ক্যারেক্টার থাকায় এর প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এখানে অনেক ডিফারেন্ট ডিফারেন্ট কাজ হয়। এখানে কাজের পরিধিও অনেক বেশি। তা ছাড়া ওটিটির কাজগুলো টিভি নাটকের মতো হুটহাট শেষ করা হয় না। অনেকটা সময় নিয়ে শেষ করা হয়। তবে এমন নয় যে আমি নাটক করছি না। নাটক ছাড়া তো আমার জীবন চলবে না- দুটো মাধ্যমেই আমি কাজ করে যাব। সিরিজটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন শাহাজাদা শাহেদ। এতে তাসনুভা তিশার পাশাপাশি আরও অভিনয় করেছেন, প্রান্তর দস্তিদার, উপস্থাপিকা নীল হুরেজাহান, নিশাত প্রিয়ম, জিলস্নুর রহমান প্রমুখ।
১৮ অক্টোবর, ২০২৪

আগে কাজ তারপর পরিবার : তাসনুভা তিশা
ছোটপর্দার অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। ক্যারিয়ার শুরু ২০১৩ সালে মডেলিং দিয়ে। এরপর আসেন ‘লাল খাম বনাম নীল খাম’ দিয়ে ছোটপর্দায়। ছোটপর্দা থেকে যারা শুরুতেই ওটিটিতে পা রাখেন তিনি তাদের অন্যতম। ‘আগস্ট ১৪’, ‘ব্যাচ-২০০৩’ এ বেশ আলোচিত হয়েছেন। এজন্য ‘সেফকিপার চ্যানেল আই ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২০’-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কৃতও হন।  কেমন যাচ্ছে এখন অভিনয়ের সময়? আসলে এখন আমার পারিবারিক কাজে সময় দিতে হচ্ছে। আপাতত কম কাজ করছি। তবে এর মধ্যে বাংলা নিউ নাটক থেকে ‘সংহার’, ‘অপেক্ষার দশ বছর’, মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘ওরা তিন জন’, এম এ আউয়াল পিন্টুর ‘জীবনের কথা’সহ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। সামনে ঈদের নাটকের কাজ আছে। কাজ শুরু হলে পরে জানতে পারবেন।  ভালো অভিনয় করা যায় প্রেমের গল্পে নাকি পারিবারিক গল্পে? এক্ষেত্রে আমি পারিবারিক গল্পকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। অবশ্য আমার মতো অনেকেই পারিবারিক গল্পের নাটক পছন্দ করেন। এর প্রমাণও মিলেছে অসংখ্যবার। যেসব নাটকের প্রশংসা মানুষের মুখে-মুখে ফিরে তার সবগুলোই পারিবারিক গল্পের। এমন একটা প্রেমের গল্পের নাটক দেখাতে পারবেন না যেটা বহুদিন মানুষের মুখে-মুখে ফিরে। অথচ এখন সেই পারিবারিক গল্পের নাটকেরই খরা চলছে। অনেকেই বাজেটের কথা মাথায় রেখে কাজ করেন। সে কারণে নাটকে হাতেগোনা দু-তিনটির বেশি চরিত্র খুঁজে পাওয়া যায় না।  যে ধারাবাহিকে পরিবার থাকে সেখানে তো কম দেখা যাচ্ছে আপনাকে? ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করব না- এমন কোনো কথা আমি কখনো বলিনি। তবে সিঙ্গেল নাটক, ওয়েব সিরিজ আর ধারাবাহিক- সবগুলো একসঙ্গে চালিয়ে নেওয়া খুব কঠিন। কারণ ধারাবাহিক নাটকের জন্য শিডিউল ধারাবাহিকভাবে দিতে হয়। একটা চরিত্রের জন্য অনেক দিন ধরে একটা নির্দিষ্ট গেটআপ ধরে রাখতে হয়। তখন সিঙ্গেল নাটক বা ওয়েব সিরিজে ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে বাড়তি কষ্ট করতে হয়। এজন্য ধারাবাহিক নাটকে কাজ কম করছি।  নিজের অভিনীত কোন ওয়েব সিরিজটি এগিয়ে রাখবেন? ‘ব্যাচ-২০০৩’ আমার জীবনের প্রথম ওয়েব সিরিজ। এতে আমার অভিনয় যেভাবে দর্শকের কাছে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়েছে তা দেখে আমি অভিভুত। আমি নিজেও কল্পনা করতে পারিনি দর্শক এ ওয়েবটিতে আমার অভিনয়কে দর্শক এতটা সমাদর করবে। এটা আমার জন্য খুবই অনুপ্রেরণার হয়ে থাকবে। এ জন্য কাজের প্রতি আমার দায়িত্বশীলতাও বেড়ে গেলে অনেক গুণ।  আপনার কাছে অভিনয় আগে নাকি পরিবার আগে? যদিও অনেকে বলেন, আগে পরিবার তারপর কাজ। কথাটা তাদের ক্ষেত্রেই মানায়, যাদের কাজ না থাকলেও বসে বসে খেতে পরতে পারবে। নয়তো তারাও বলতেন, আগে কাজ তারপর পরিবার, আর জীবনে যা থাকে, তা-ই হবে।  ছোটপর্দার সবাই সিনেমায় ঝুঁকছেন- আপনাকে কবে দেখা যাবে? ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের পর থেকে দর্শকের এই চাহিদার বিষয়টিও মাথায় আছে। অসংখ্য দর্শকের ইচ্ছা আমি যেন চলচ্চিত্রেও অভিনয় করি। তবে বললেই তো হলো না। দেখতে হবে সেটা ‘আগস্ট ১৪’, ‘ব্যাচ-২০০৩’ মতো মানসম্পন্ন গল্প কিনা। যেমন- মনপুরা, আয়নাবাজি, ফাগুন হাওয়ায়, কিংবা ন’ডরাইয়ের মতো গল্পের সিনেমা। এ রকম স্টান্ডার্ডের কোনো গল্পে কাজ করার প্রস্তাব পেলে অবশ্যই তাতে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই অভিনয় করব। মডেলিংও করেন- নাটকের অভিনয় ভালো লাগে নাকি মডেলিংয়ের? আমার কাছে অভিনেত্রী পরিচয়ই প্রধান। সেটা নাটকেই হোক আর মডেলিংয়েই হোক। তবে মডেলিংকে আমি অভিনয়েরই একটি অংশ বলে মনে করি। কারণ সেখানেও কিছুটা অভিনয়ের সুযোগ থাকে। আমার কাছে সব ধরনের অভিনয়ই ভালো লাগে।  
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

উপরে