শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১০ বছরের সর্বোচ্চ অবস্থানে পুঁজিবাজার

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ জুলাই ২০২১, ১৬:২৬

বাড়ছে শেয়ারদর। তার সঙ্গে বাড়ছে শেয়ারবাজার মূল্য সূচকও। ঈদের আগে শেষ কার্যদিবসে আজ সোমবারও বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে ৬৪০৫ পয়েন্টে উঠেছে।

২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর পর এটাই সূচকটির সর্বোচ্চ অবস্থান। তবে নতুন সূচক চালুর আগে ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল এ বাজারের প্রধান মূল্য সূচক। ওই সূচকের অবস্থান বিবেচনা করলে সূচকের আজকের অবস্থান ২০১১ সালের ৩১ জুলাইয়ের পর বা গত প্রায় এক দশকের সর্বোচ্চ।

ডিএসই সাধারণ সূচকটির (যা ডিজেন নামে বেশি পরিচিত) গণনা পদ্ধতির কারণে সূচকের বড় উত্থান-পতন হত, বিধায় ওই সংকট দূর করতে ২০১২ সালে নতুন সূচক চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

ডিজেন সূচকটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির সব শেয়ার নিয়ে সূচক গণনা করা হত। এতে গ্রামীণফোন বা এর মত বৃহৎ মূলধনী কোম্পানির লেনদেনযোগ্য শেয়ার সংখ্যা কম হওয়ার পরও শেয়ারদরের বড় উত্থান-পতনে সূচকে বড় উত্থান-পতন হচ্ছিল। সূচকের গণনা পদ্ধতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ভালো ধারণা না থাকায় নির্দিষ্ট কোনো শেয়ারের দরপতনে সূচকে বড় পতন হলেও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবাজারে সার্বিক দরপতনের ভীতি ছড়িয়ে পড়ত।

এ সমস্যা দূর করতে বিশ্বখ্যাত আর্থিক ও শেয়ারবাজার বিষয়ক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এসএন্ডপির সহায়তায় বাজারে সচারাচর লেনদেনযোগ্য শেয়ার সংখ্যার (ফ্রি-ফ্লোট শেয়ার) ভিত্তিতে ডিএসইএপ সূচক চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

নতুন সূচক চালুর ক্ষেত্রে ডিজেন সূচকটির অবস্থানকে ভিত্তি ধরে ২০১২ সালের জুনে ডিএসইএপ সূচকটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। এর পর ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ডিএসইএক্স সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর প্রথম দিনে ডিএসইএক্স সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্টেরও কম পরিবর্তন হয়। দিন শেষে সূচকটির সর্বশেষ অবস্থান ছিল ৪০৫৫.৯১ পয়েন্টে।

চালুর পর ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল সূচকটির সর্বনিম্ন অবস্থান ৩৪৩৮ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমেছিল।

ফের ৪০০০ পয়েন্টের মাইলফলক পার করেছিল ২০১৩ সালের ৮ জুন। ৫০০০ পয়েন্টের মাইলফলক অতিক্রম করে ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। ৬০০০ পয়েন্টের মাইলফলক পার করেছিল ২০১৭ সালের ৩১ আগষ্ট।

২০১৮ সালের ৩ ফেব্রম্নয়ারি ডিএসইএপ সূচকটি ৬৩০০ পয়েন্ট পার করার পর ফের দরপতন শুরম্ন হয়েছিল। ওই বছরের ১৮ ফেব্রম্নয়ারি সূচকটি ফের ৬০০০ পয়েন্টের নিচে নামে। ক্রমাগত দরপতনে সূচকটি গত বছরের জুনে সূচকটি সেখান থেকে ৪০০০ পয়েন্টের নিচে (৩৯৫৮ পয়েন্টে) নেমেছিল।

সোমবার দুপুর ১টায় ডিএসইতে ডিএসইএক্স সূচকটি যখন তার ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থানে অবস্থান করছিল, তখন এ বাজারে ১৮০ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ১৫৮টি দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হচ্ছিল ৩৪ শেয়ার।

যাযাদি/এসআই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে