শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিক এখন সবার ওপরে

যাযাদি ডেস্ক
  ২২ জানুয়ারি ২০২১, ১৬:২৩

মুশফিকুর রহিম এখন সবার ওপরে। দেশের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ওয়ানতে খেলার রেকর্ডটা তারই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছাড়িয়ে গেছেন।

২০০৫ সালের মে মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে টেস্ট অভিষেক হলেও ওয়ানডে অভিষেক হয় তার এক বছরেরও খানিকটা সময় পরে। ২০০৬ সালের আগস্টে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেন দেশের হয়ে নিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ছিল তার ২১৯তম ম্যাচ। সে ম্যাচেই দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

মাশরাফি বিন মুর্তজা খেলেছেন ২১৮টি ম্যাচ। ২০০১ সালে অভিষিক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের জার্সিতে এতগুলো ম্যাচই খেলেছেন তিনি। কিন্তু তার ক্যারিয়ারে বাড়তি আরও দুটি ওয়ানডের হিসাব যুক্ত আছে। ২০০৭ সালের জুনে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইতে তিনি এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে যে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন, রেকর্ডবইয়ের সে দুটি ম্যাচও এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে স্বীকৃত। সে হিসেবে ক্যারিয়ারে মুশফিক-মাশরাফি দুজনই ২২০টি করে ওডিআই খেলেছেন। দেশের হয়ে খেলার বিবেচনাতেই গত ম্যাচে মাশরাফিকে ছাড়িয়ে গেছেন মুশফিক।

বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার তালিকায় শীর্ষ দশ অবস্থানে মুশফিক, মাশরাফি ছাড়াও আছেন তামিম ইকবাল (২০৯), সাকিব আল হাসান (২০৮), মাহমুদউল্লাহ (১৯০), মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭৫), আবদুর রাজ্জাক (১৫৩), খালেদ মাসুদ (১২৬), মোহাম্মদ রফিক (১২৩), হাবিবুল বাশার (১১১)। তিনে ওঠার জন্য জোর লড়াই চলছে তামিম ও সাকিবের মধ্যে।

দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলা মুশফিক কিন্তু ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডেও সবার ওপরেই আছেন। গত ম্যাচে মাঠে নামার আগে মুশফিকের মোট রান ছিল ৪ হাজার ৩৯৪। ৪৪ রান করে তামিম কিছু সময়ের জন্য তাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন (মাঠে নামার আগে তামিমের মোট রান ছিল ৩ হাজার ৩৬১)। তবে মুশফিক খেলা শেষ করেন ১৯ রানে অপরাজিত থেকে। এখন তার মোট রান ৪ হাজার ৪১৩। তামিমের ৪ হাজার ৪০৫। উইকেটরক্ষক হিসেবেও সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল তাঁরই। ২০৪ ইনিংসে ১৮০টি ক্যাচ আর ৪৫টি স্টাম্পিং আছে তার।

যাযাদি/ এমডি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে