শেখ জামাল আর মোহামেডানের ম্যাচ নির্বিঘ্নে যথা সময়ে শেষ হলেও প্রাইম ব্যাংক আর গাজী গ্রুপের ম্যাচে হঠাৎ হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। আগে ব্যাট করতে নামা গাজী গ্রুপ ইনিংসের ১২ নম্বর (১১.৫) ওভারে চলে আসে বৃষ্টি।
বৃষ্টিতে বন্ধ হবার সময় ধুঁকছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। তাদের স্কোর ৬ উইকেটে ৬৫। প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে প্রায় ২০ মিনিট পর খেলা শুরু হলেও ওভার কমেনি একটুও।
তবে চরম বিপর্যয়ের মুখে আরিফুল হক আর আকবর আলী কিছুটা হলেও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সপ্তম উইকেটে তারা দুজন ৩৮ রান যোগ করেন। আরিফুল হক ২৮ বলে ৩১ আর আকবর আলী ২২ বলে ২৪ রানের আরও একটি ইনিংস খেলেন।
তাদের ওই দুটি ইনিংসের ওপর ভর করেই শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১২৫ (৯ উইকেটে) পর্যন্ত যায় গাজী গ্রুপের স্কোর। টপ স্কোরার মেহেদি মারুফ (৩১ বলে ৩৩)। এছাড়া সৌম্য সরকার শূন্য (১ বল), মুমিনুল ১০ (১১), ইয়াসির আলী রাব্বি ৯ (৫), অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২ (৫) ও উইকেটকিপার জাকির হাসান ৩ (১২ বলে) চরম ব্যর্থ।
রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজ আর শরিফুলের মত তিন দ্রুত গতির বোলার থাকার পরও প্রাইম ব্যাংকের সবচেয়ে সফল বোলার লেগস্পিনার অলক কাপালি।
অলক ৪ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেটের পতন ঘটান। আর দ্রুত গতির বোলার শরিফুল ২ উইকেটের পতন ঘটান ৩.৪ ওভারে (৪ ওভারে)।
এছাড়া চার বোলার পেসার রুবেল হোসেন (৪ ওভারে ১/২৯), মোস্তাফিজ (৪ ওভারে ১/২৭) ও স্লো মিডিয়াম রুবেল মিয়া ও (৪ ওভারে ১/১৮) সমীহ জাগানো বোলিং করে গাজী গ্রুপকে ১২০-এর ঘরে আটকে রাখেন।
ইয়াসির আলী রাব্বি, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর কিপার জাকির হাসান অলক কাপালির বলেই আউট হন। তবে তিন উইকেটের দুটি ছিল শর্ট বলে। শরিফুলের করা ম্যাচের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রথম স্ট্রাইক পেয়ে পুল করতে গিয়ে আকাশে তুলে বিদান নেন গাজী গ্রুপের ওপেনার সৌম্য সরকার।
ওয়ান ডাউন খেলতে নেমে মুমিনুল বোল্ড হন রুবেলের বলে ক্রস চালাতে গিয়ে। এছাড়া গাজীর টপ স্কোরার মেহেদি হাসানের ইনিংসটি শেষ হয় স্লো মিডিয়াম রুবেল মিয়ার সোজা বলে। মেহেদি উইকেট সোজা বলকে অনসাইডে ঘোরাতে গিয়ে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়ান।
তবে মিডল অর্ডার ইয়াসির আলী আর গাজী গ্রুপ অধিনায়ক রিয়াদের আউট দুটি ছিল বড়ই দৃষ্টিকটু। দুজনই শর্ট বলে মারবো না মারবো- করে ক্যাচ তুলে ফেরত আসেন।
আগের বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে হাফ পিচে পড়া ডেলিভারিকে হাফ পুশ, হাফ পুল খেলতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন ইয়াসির আলী। আর রিয়াদও অলক কাপালির শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ তুলে দেন।
আর ওপেনার মেহেদি হাসান রুবেল মিয়ার সোজা ডেলিভারিকে অনসাইডে ঘোরাতে গিয়ে হন লেগবিফোর উইকেট।
যাযাদি/এসআই