​‘ডাবল সেঞ্চুরির’ অপেক্ষায় মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০২১, ১৮:২২

যাযাদি ডেস্ক

 

 

১৯৯ নট আউট। হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলতে নামলে মাহমুদউল্লাহর ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হবে। রান বা উইকেটে নয়, ম্যাচ সংখ্যায় জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করবেন।

 

পঞ্চম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে অনন্য অর্জনে নাম লেখানোর অপেক্ষায় মাহমুদউল্লাহ। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ২০০৬ সালে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ২২৭ ওয়ানডে। মাশরাফি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছেন ২২০টি। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন ২১৮টি। ২টি ম্যাচ খেলেছেন এশিয়া একাদশের হয়ে। এছাড়া তামিম ২১৮, সাকিব ২১৪ ম্যাচ খেলেছেন। খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে একশর বেশি ম্যাচ খেলেছেন কেবল মোহাম্মদ আশরাফুল (১৭৫) ও রুবেল হোসেন (১০৪)। জাতীয় দলে আশরাফুলের ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। রুবেল খেলা চালিয়ে গেলেও ম্যাচ সংখ্যায় এমন কীর্তি গড়া প্রায় অসম্ভব।

 

১৯৯ ওয়ানডেতে ৩৪.৯১ গড়ে ৪৪৬৯ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। নামের পাশে আছে তিন সেঞ্চুরি, ২৫টি হাফ সেঞ্চুরি। তিন সেঞ্চুরির দুইটি এসেছে ২০১৫ বিশ্বকাপে। অপরটি ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচে। তবে মাহমুদউল্লাহর অবদান পরিসংখ্যানের থেকেও অনেক বড়।

 

কঠিন পরিস্থিতিতে বুক চিতিয়ে লড়াই করা, লোয়ার অর্ডারে দ্রুত রান তোলা, ৩০ থেকে ৪০ রানের অবদান রেখে দলের স্কোরকে বড় করা, কখনও কখনও ম্যাচ জেতানো ছোট্ট ক্যামিও মাহমুদউল্লাহকে করেছে অনন্য। দলের প্রয়োজনে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিং করে কখনও সফল হয়েছেন, কখনও ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু দিনের পর দিন ক্রাইসিস ম্যান হিসেবে তিনি টিকে ছিলেন। নায়ক হতে পেরেছেন পাঁচবার। কিন্তু অসংখ্যবার তিনি পার্শ্বনায়ক হয়ে ছিলেন।

 

তাই তো দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি গত বছর তামিমের ফেসবুক লাইভে বলেছিলেন, ‘রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) এমন একজন ব্যাটসম্যান, ও যদি চার-পাঁচ নম্বরে ব্যাট করার সুযোগ পেতো, ওর পরিসংখ্যানও কিন্তু ভালো হতো। দলের ভালোর জন্য ওকে আমাদের ছয়ে ব্যাট করাতে হচ্ছে। আমাদের নিচের দিকে এরকম ব্যাটসম্যান নেই যে বিধ্বংসী খেলতে পারে। দলের জন্য খেলতে গিয়ে ওর ক্যারিয়ারে অনেক রান হারিয়েছে। অনেক সময়ই রিয়াদ মন খারাপ করেছে। আমি বুঝিয়েছি, সে হাসিমুখে মেনে নিয়েছে।’

 

‘ওর নামের পাশেও ৭-৮ হাজার রান থাকতে পারতো। কিন্তু ওকে দলের জন্য খেলতে হয়েছে। খুব কঠিন কাজ করতে হয় ওকে। ওর কাজটা এমন, সব দিন সফল হবে না। সফল না হলে দর্শক, মিডিয়া, সব জায়গায় সমালোচনা শুনতে হয় ওকে। তারপরও করে যাচ্ছে। সে সিনিয়র ক্রিকেটার, তবু একদিনও এসে কিন্তু বলেনি যে চারে ব্যাট করতে চাই। বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করে আসছে সে।’– বলেছিলেন ৫০ জয় নিয়ে অধিনায়কত্ব ছাড়া মাশরাফি।

 

যাযাদি/এসআই