দুই ম্যাচে ১০ গোল, শিরোপার কাছে ম্যান সিটি

৩৫ ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল লিভারপুল। ৩৪ ম্যাচে সমান পয়েন্ট ছিল ম্যানচেস্টার সিটিরও। মূলত লিভারপুলের চেয়ে ৩ গোলে পিছিয়ে থাকায় টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিটিজেনরা। সবশেষ দুই ম্যাচে পয়েন্ট ব্যবধানটা বাড়ানোর সঙ্গে গোল সংখ্যায়ও অলরেডদের ছাড়িয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার দল। ঘরের মাঠে নিউক্যাসলকে ৫-০ গোলে হারানোর পর এবার উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের জালেও পাঁচবার লক্ষ্যভেদ করেছে সিটিজেনরা।

বুধবার মলিনেক্স স্টেডিয়ামে কেভিন ডি ব্রুইনার চার গোলে ১-৫ গোলের জয় পেয়েছে গার্দিওলার দল। বিজয়ী দলের অন্য গোলটি করেন রাহিম স্টার্লিং।

দুই ম্যাচে ১০ গোল করে সিটির গোল সংখ্যা ৯৪। লিভারপুলের ৮৯। গোল পার্থক্য বাড়ায় ৩৮ ম্যাচ শেষে দুদলের পয়েন্ট সমান হলেও শিরোপা জেতার জোর সম্ভাবনা রয়েছে ম্যান সিটির। ৩৬ ম্যাচে ৮৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সিটি। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে লিভারপুল। অর্থাৎ, সিটির হার ব্যতীত লিভারপুলের শিরোপা জেতা অসম্ভব।

ম্যাচশেষে কেভিন ডি ব্রুইনা বলেন, ‘আগামী দুই ম্যাচের উপর সব নির্ভর করছে। গোল সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় কিছুটা সুবিধা আমরা পাব। লিভারপুলের জন্য এই গোল পার্থক্য মেটানো অসম্ভব নয়। তবে গোলের হিসাব তখনই আসবে যখন আমরা হারব। আমাদের পরবর্তী ম্যাচে (ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে) নজর দিতে হবে।’

গার্দিওলা বলেন, ‘ছেলেরা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। প্রতিপক্ষের মাঠে সত্যিই ভালো একটি ম্যাচ খেলেছি আমরা। তিন পয়েন্ট যোগ হলো, এবার বিশ্রাম এরপর ওয়েস্ট হ্যাম।’ আগামী ১৫ই মে ওয়েস্ট হ্যামের মাঠে নিজেদের ৩৭তম ম্যাচটি খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি। খেলোয়াড়দের ভূয়সী প্রশংসা করে গার্দিওলা বলেন, ‘এই দলটি গত বছর যা করেছে তারপরও তাদের নিয়ে আপনার সংশয় রয়েছে? তাদের ব্যক্তিত্ব রয়েছে, আদর্শ ফুটবলার হওয়ার সব গুণ রয়েছে তাদের।’

ডি ব্রুইনার প্রশংসা করে গার্দিওলা বলেন, ‘গত ২ থেকে ৩ মাস সে অসাধারণ খেলছে, বিশেষ করে প্রিমিয়ার লীগে। দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য সে। দলকে প্রচুর সহায়তা করে সে। আমি খুবই খুশি। সে সব সময়ই দলকে সাহায্য করার মানসিকতা পোষণ করে। মাঠে নিজেকে উজার করে দেয়।’

বুধবার ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই সমর্থকদের আনন্দে  ভাসান ডি ব্রুইনা। চার মিনিটের ব্যবধানে উলভসও ম্যাচে ফেরে লেন্ডার ডেনডঙ্কারের গোলে। আবারো লিড নিতে সিটিও সময় নেয়নি। ১৬তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ডি ব্রুইনা। ২৪তম মিনিটে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। ৬০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করেন এই বেলজিয়ান। শেষ বাঁশি বাজার ৬ মিনিট বাকি থাকতে স্কোরশিটে নাম তোলেন রাহিম স্টার্লিং।

যাযাদি/এসএইচ