অ্যাাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমাল যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল ম্যাচের নাগাল আর পাবে না বাংলাদেশ। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ গল্প লিখলেন সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেন। তাদের বীরত্বে ৫০৬ রানে থামল লঙ্কানদের ইনিংস।
এর আগে প্রথম দুই সেশনে একদমই প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগের দিন অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটার আজ শুরু থেকেই ছড়ি ঘুরাতে থাকেন টাইগার বোলারদের ওপর।
সেই ৫ উইকেটেই ৪৫৯ রান তুলে চা বিরতিতে যায় লঙ্কানরা। প্রথম সেশন শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ১৩০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬৯ রান। ৩৩ ওভার খেলে ওভারপ্রতি ২ দশমিক ৬৪ রেটে ৮৭ রান তোলে বাংলাদেশকে দুশ্চিন্তায় ফেলেন চান্দিমাল-ম্যাথিউস।
দ্বিতীয় সেশনের ১১তম ওভারে মোসাদ্দেকের করা চতুর্থ ডেলিভারির বল মিড উইকেটে ঠেলে দিয়েই নিজের শতকের দেখা পান ম্যাথিউস। এটি চলমান সিরিজে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। অথচ বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে একটি সেঞ্চুরিও ছিল না তার। ম্যাথিউসের পথেই হেটেছেন চান্দিমাল।
১৪৫তম ওভারে এবাদতের বল অফ সাইডে ব্যাকফুট পুশ করে শতক পেয়ে যান চান্দিমালও। মাঝে মোসাদ্দেককে দিয়ে চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি তাতে।
চা বিরতির পর ফিরে দ্রুত ৫ উইকেট নিয়ে সেশন নিজেদের করে নেয় মুমিনুল হকের দল। দু'টি করে উইকেট শিকার করেন এবাদত ও সাকিব। ম্যাথিউস এক প্রান্তে ১৪৫ রানে অপরাজিত থাকলেও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন লঙ্কান লোয়ার অর্ডাররা।
১৪১ রানে এগিয়ে থেকে বল করতে নামবে শ্রীলঙ্কা। উইকেট ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে বোলিং সহায়ক। আচমকা বাউন্স ও টার্নিং উইকেটে এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
যাযাদি/ এস