শেষ বিকেলের বোলিং বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখালেও প্রথম ইনিংসের পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি করেছেন টাইগার টপ অর্ডার। ৪ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
দায়িত্বজ্ঞ্যানহীন ব্যাটিয়ে ১৯ রান তুলতেই ফেরত যান ৩ টপ অর্ডার। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের খাতা না খুলে ফিরে গেছেন তামিম ইকবাল। এবারও তাকে ফিরিয়েছেন আসিথা ফার্নান্ডো। ইনিংসের মাত্র ষষ্ঠ ওভারেই দ্বিতীয় স্লিপে ধরা পড়ে ফিরে গেলেন দেশসেরা ওপেনার।
ফার্নান্ডোর গুড লেন্থের আউট সুইং ডেলিভারি ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন তামিম। কয়েক দফা চেষ্টা করে সেই ক্যাচ তালুবন্দী করেন কুশাল পেরেরা।
আউট হওয়ার আগে ১০ বল মোকাবিলা করেন তামিম। শুরু থেকেই আগের ইনিংসের ধারা বজায় রেখে বল করেন কাসুন রাজিথা ও ফার্নান্ডো। প্রথম ওভারেই রাজিথার বলে কট বিহাইন্ড হয়েছিলেন জয়।
তবে লঙ্কানরা আপিল না করায় সে যাত্রা বেঁচে যান এই তরুণ ওপেনার। ফুট ওয়ার্কের দুর্বলতা এই টেস্টের দুই ইনিংসেই ভোগাল তামিমকে।
তামিমের বিদায়ের পর হাস্যকর এক রান আউটের ফাঁদে পড়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। অধিনায়ক মুমিনুলের আগমন কিছুটা আশা জাগালেও দলকে টানতে পারলেন না এবারও, তামিমের পথ অনুসরণ করে তিনিও ফিরে গেলেন ০ রানে।
নিজের মাত্র দ্বিতীয় বলেই অফ স্ট্যম্পের অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন লিটল মাস্টার। এমন সময়ে ক্রিজে আসেন প্রথম ইনিংসের ত্রাতা মুশফিকুর রহিম।
তবে মি. ডিপেন্ডেবলকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মাহমুদুল হাসান জয়। ফার্নান্ডোর লাফিয়ে ওঠা বল সামলাতে না পেরে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান দক্ষিণ আফ্রিকায় সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটার।
যাযাদি/এস