দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টটি ড্র হলেও দ্বিতীয় টেস্টে বড় জয় পেয়েছে দিমুথ করুনারত্নের দল। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেললেও ব্যাটাররা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছেন। আজ পঞ্চম দিন প্রথম সেশন শেষে বড় লিডের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর আসিথা ফার্নান্দোর বোলিং তোপে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য মাত্র ২৯ রানে লক্ষ্য পায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ ওভারেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় পায় লঙ্কানরা।
হারের শঙ্কা ছিল চতুর্থ দিনের শেষ সেশনের পরই। আজ শেষ দিনে প্রতিরোধ গড়ে আশা জাগিয়েছিল সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। কিন্তু তাদের ১০৩ রানের জুটি মধ্যাহ্ন বিরতির পর ভাঙলে তাসের ঘরের মতো ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে টাইগারদের। দ্বিতীয় সেশন কেবল ২০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায় মুমিনুল হকের দল।
চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে ১০৭ রান পিছিয়ে হাতে ছিল ৬ উইকেট। প্রথম ইনিংসের মতো আবারও সেই মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস দলের বিপর্যয়ে ব্যাট করছে। আজ শেষ দিনের খেলা শুরু হওয়ার পর অষ্টম ওভারেই স্বাগতিক শিবিরে আঘাত হানেন লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথা। মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক ২৩ রান করে এই ডানহাতি পেসারের শিকার হন।
লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে সাকিব আল হাসান হারের শঙ্কা থেকে দলকে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন। তাদের ৮৯ রানের জুটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে লিড পেয়েছিল টাইগাররা। ৬১ বলে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭ তম অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান।
কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে আসিথা ফার্নান্দোর গতির কাছে পরাস্ত হয় টাইগার ব্যাটাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি পেসার।
ঢাকা টেস্ট
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩৬৫ অলআউট (মুশফিক ১৭৫*, লিটন ১৪১; রাজিথা ৫-৬৪, ফার্নান্দো ৪-৯৩)
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৫০৬ অলআউট (ম্যাথিউস ১৪৫*, চান্দিমাল ১২৪; সাকিব ৫-৯৬, এবাদত ৪-১৪৮)
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৬৯ অলআউট (সাকিব ৫৮, লিটন ৫২; ফার্নান্দো ৬-৫১, রাজিথা ২-৪০)
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংস: ২৯/০ (ওশাদা ২১*, করুনারত্নে ৭*; এবাদত ০-৫, সাকিব ০-৭)
ফলাফল : শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে জয়ী। ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল সফরকারীরা।
যাযাদি/ এস