বেয়ারস্টোর লড়াকু শতকের পরও চালকের আসনে ভারত

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০২২, ০৯:৫২

যাযাদি ডেস্ক

তৃতীয় দিনে উত্তাপ ছড়িয়েছে এজবাস্টন টেস্ট। বিরাট কোহলির আক্রমণাত্মক স্লেজিং, প্রতি-আক্রমণে জনি বেয়ারস্টোর শতকে জমে উঠেছিল ইংল্যান্ড-ভারতের সাদা পোশাকের ধ্রুপদী দ্বৈরথ। অবশ্য বেয়ারস্টোর দুর্দান্ত শতকের পরও দিনটি নিজেদের করে নিতে পারেনি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর ব্যাটিংয়ে এজবাস্টন টেস্টে চালকের আসনে এখন ভারত।

টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত করেছে ৪১৬ রান, সেই রান টপকে যাওয়ার মিশনে নেমে ইংল্যান্ডের বেহাল অবস্থা ছিল দ্বিতীয় দিন শেষে। ৫ উইকেট নেই, স্কোরবোর্ডে মোটে ৮৪ রান। এই অবস্থাতেই তৃতীয় দিন ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছিলেন সাদা পোশাকে দারুণ ফর্মে থাকা বেয়ারস্টো এবং ইংলিশ অধিনায়ক স্টোকস।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজনের দৃঢ়তায় তৃতীয় দিনের সকালে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ইনিংসের ৩৮তম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে জশপ্রীত বুমরার তালুবন্দি হয়ে স্টোকস ফেরার আগে এই জুটি থেকে এসেছিল ৬৬ রান। ইংলিশ অধিনায়ক ফিরেছেন ৩৬ বলে ২৫ রান করে।

স্টোকস আউট হওয়ার পর সপ্তম উইকেটে ফের ইনিংস গড়ে তোলার চেষ্টা করেন বেয়ারস্টো। উইকেটরক্ষক স্যাম বিলিংসের সঙ্গে তার এই জুটিতে ওঠে ৯২ রান। এই জুটি ভাঙে টানা তৃতীয় টেস্টে শতক তুলে নেওয়ার পরপরই মোহাম্মদ শামির বলে ক্যাচ তুলে বেয়ারস্টো বিদায় নেওয়ায়। সাজঘরের পথে হাঁটা শুরুর আগে দলীয় সর্বোচ্চ ১০৬ রান করেন ১৪০ বলে।

বেয়ারস্টো ইংল্যান্ডের আর কোনো ব্যাটসম্যান ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। বিলিংস ৫৭ বলে ৩৬ রান করলেও সঙ্গীর অভাবে তিনি ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হন। ভারতীয় পেসারদের দাপটে ২৮৪ রানেই থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ভারতের পক্ষে ৬৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সিরাজ, আর ৩ উইকেট পেয়েছেন অধিনায়ক বুমরাহ।

প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ আর দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে ১৩২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। শুরুতেই অবশ্য শুবমান গিলের (৪) উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়েছিল সফরকারীরা। তবে অন্য ওপেনার চেতেশ্বর পুজারা (৫০*) এবং প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ঋষভ পন্তের (৩০*) দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভালোভাবেই শেষ করতে পেরেছে তারা।

এদিকে ফের একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন কোহলি। বেয়ারস্টোর সঙ্গে মাঠে কথার লড়াই জমিয়ে তুললেও ব্যাটিংয়ে ছন্দ খুঁজে পেলেন না। ব্যক্তিগত ২০ রানে স্টোকসের লাফিয়ে ওঠা বলে স্লিপে তালুবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

যাযাদি/ এসএম