কিউইদের কাছে পাত্তা পেল না ক্যারিবিয়ানরা

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০২২, ১৩:১০

যাযাদি ডেস্ক

অনেক সময় ম্যাচ জয়ের পরও কোনো ঘাটতি-আক্ষেপের কথা বলে থাকেন অধিনায়কের। হারের পর যেমন অনেকে খুঁজে পান ইতিবাচক কিছু। কিন্তু এই ম্যাচে তেমন কিছুই হলো না। ম্যাচ শেষে নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন তৃপ্ত কণ্ঠে বললেন, “দুর্দান্ত দলীয় পারফরম্যান্স।” ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের অকপট স্বীকারোক্তি, “আজকের ম্যাচে আমরা ছিলামই না।”

দুই অধিনায়কের কথা থেকেই ম্যাচের চিত্র মোটামুটি পরিষ্কার। প্রথম ম্যাচে তবু লড়াই জমেছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে নিউ জিল্যান্ড।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯০ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় নিউ জিল্যান্ড। জ্যামাইকায় শুক্রবার গ্লেন ফিলিপসের ঝড়ো ৭৬ রানের সঙ্গে অন্যদের অবদানে কিউরা তোলে ২০ ওভারে ২১৫ রান। ক্যারিবিয়ানরা ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত যেতে পারে ১২৫ পর্যন্ত।

আগের ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়া মিচেল স্যান্টনার এবারও বাঁহাতি স্পিনে ৩ উইকেট নেন ১৫ রানে। ঠিক ১৫ রানেই ৩ উইকেট নেন এই ম্যাচে একাদশে ফেরা অফ স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ড প্রথম ৩ ওভারে তোলে ২৭ রান। চতুর্থ ওভারে তাদের জোড়া ধাক্কা দেন ওবেড ম্যাককয়। মার্টিন গাপটিল আউট হন ১১ বলে ২০ রান করে। কেন উইলিয়ামসন নেমে প্রথম বলে বাউন্ডারির পর আউট হয়ে যান পরের বলেই।

ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপস এরপর একটু সাবধানী ব্যাটিংয়ে কাটিয়ে দেন তিনটি ওভার। ৭ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ৪৬। অষ্টম ওভারে হেইডেন ওয়ালশকে ছক্কা মেরে হাত খোলেন ফিলিপস। এরপর আর কিউইদের কোনো থামাথামি নেই। জেসন হোল্ডারের ওভারে আসে তিনটি বাউন্ডারি। রোমারিও শেফার্ডকে ছক্কায় ওড়ান কনওয়ে। ওয়ালশের ওভারে ছক্কা মারেন কনওয়ে-ফিলিপস দুজনই।

৪৬ বলে ৭১ রানের জুটি ভাঙেন ওডিন স্মিথ। ৩৪ বলে ৪২ করে আউট হন কনওয়ে। পরের জুটিতে ক্যারিবিয়ান বোলিং আরও বিধ্বস্ত করে দেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল। দুজন ৮৩ রান যোগ করেন স্রেফ ৫.৪ ওভারে!

৪টি চার ও ৬ ছক্কায় ৪১ বলে ৭৬ করে বিদায় নেন ফিলিপস। ৪ ছক্কায় ২০ বলে ৪৮ করে মিচেল আউট হন শেষ ওভারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয়বার টি-টোয়েন্টিতে দুইশ ছাড়ায় নিউ জিল্যান্ড।

রান তাড়ায় কিউই স্পিনে মুখ থুবড়ে পড়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং। লকি ফার্গুসনের জায়গায় এই ম্যাচে ব্রেসওয়েলকে এনে স্পিনে শক্তি বাড়ায় নিউ জিল্যান্ড। সেটি কাজে লেগে যায় দারুণভাবে।

প্রথম দুই ওভার দুই পেসারকে দেওয়ার পর তৃতীয় ওভারেই মিচেল স্যান্টনারকে আনেন উইলিয়ামসন। বাঁহাতি এই স্পিনার নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কাইল মেয়ার্স ও শামার ব্রুকসকে।

চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে ব্রেসওয়েল প্রথম বলেই আউট করেন নিকোলাস পুরানকে। নিজের পরের ওভারে ব্রেসওয়েল বিদায় করেন ডেভন টমাসকেও। পাওয়ার প্লেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ১৯! ম্যাচ কার্যত শেষ ওখানেই।

পরে শিমরন হেটমায়ার ও জেসন হোল্ডারের বিদায়ে ক্যারিবিয়ানদের রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৪০। যাচ্ছতাইভাবে হারার মুখে তখন তারা। তবে লোয়ার অর্ডারদের লড়াইয়ে একটু ভদ্রস্থ হয় দলের স্কোর। শেষ জুটির ৩৮ রানে তারা একশ ছুঁয়ে এগোতে পারে আরেকটু সামনে। ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান ম্যাককয় করেন ১৫ বলে অপরাজিত ২৩। অবিশ্বাস্যভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান তারই! সিরিজের শেষ ম্যাচ একই মাঠে, রোববার।

যাযাদি/ এসএইচ