সূর্যকুমারের তাণ্ডবে মুম্বাইয়ের জয়
প্রকাশ | ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪
জমে উঠেছে আইপিএলের পয়েন্ট টেবিল। কে চ্যাম্পিয়ন্স হবে সে হিসাব-নিকাশ এখনি শুরু করে দিয়েছে ভক্তরা। তবে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে যে চ্যম্পিয়ন্স হবে সে দলকে।
এদিকে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরে নিজের খেল দেখালেন সূর্যকুমার যাদব। বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে ২২ গজে নিজের প্রত্যাবর্তন রাঙালেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই ব্যাটসম্যান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) মাঠে ফেরেন সূর্যকুমার। ওয়াংখেড়েতে আগে ব্যাটিং করে বেঙ্গালুরু ৮ উইকেটে ১৯৬ রান তোলে। জসপ্রিত বুমরাহ ২১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচটা শুরুতেই রাঙিয়ে তোলেন। তবে, লক্ষ্য তাড়ায় সূর্যকুমার শো বাকি ছিল।
জানা যায়, মাত্র ১৯ বলে ৫২ রান করেন সূর্যকুমার। যেখানে চার ছিল ৫টি। ছক্কা ৪টি। ২৭৩.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করে এবারের আইপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে মুগ্ধতা ছড়ান। ৫ উইকেট নিয়ে বুমরাহ ম্যাচ সেরা হলেও ইমপ্যাক্ট পারফরম্যান্সে সূর্যকুমার ছিলেন সেরা। কারণ, তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বেঙ্গালুরুর দেওয়া লক্ষ্য মুম্বাই ছুঁয়ে ফেলে ২৭ বল আগে, ৭ উইকেট হাতে রেখে।
এর আগে ওপেনিংয়ে ইশান কিশান ও রোহিত ভালো শুরু এনে দেন। ৮.৫ ওভারে ১০১ রান তোলেন। ইশান ৩৪ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৯ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। রোহিত ২৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রান করেন। এরপর শুরু হয় সূর্যকুমার তাণ্ডব। ফিফটি ছুঁয়ে তিনি বিদায় নিলেও দলের জয়ের বাকি কাজ সারেন হার্দিক ও তিলক ভার্মা। হার্দিক ৬ বলে ২১ ও তিলক ১০ বলে ১৬ রান করেন।
তবে বেঙ্গালুরু বোলিংয়ে ভালো করতে পারেনি। তবে, ব্যাটিংয়ে তাদের পারফরম্যান্স খারাপ ছিল না। বিরাট কোহলি এদিন ৩ রানে আউট হলেও ফাফ ডু প্লেসিস ও রজত পাতিদার দায়িত্ব সামলে নেন। ডু প্লেসিস ৪০ বলে ৬১ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। রজত ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ২৬ বলে করেন ৫০ রান। শেষদিকে দেলর স্কোরবোর্ড চূঁড়ায় নিয়ে যান দিনেশ কার্তিক। ২৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রান করেন। তাতে বেঙ্গালুরুর রান দুইশ’র কাছাকাছি পৌঁছে যায়। কিন্তু, ওই রান যে পর্যাপ্ত ছিল না, তা বুঝতে পেরেছিল কেউ?
টানা ৪ ম্যাচে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল বেঙ্গালুরু। মুম্বাইয়ের জয়ের নায়ক বুমরাহ প্রথম বোলার হিসেবে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৫ উইকেট পেয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়ারের মতো ৫ উইকেটের স্বাদ পেলেন তিনি। দুইবার হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও কোনোবারই ধরা দেয়নি।
যাযাদি/ এস