রেফারিদের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় ২০২৪ সালের জন্য ফিফার তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন জয়া চাকমা। পাঁচ বছর আগে তিনি প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ফিফা রেফারি হয়েছিলেন। টানা চার বার ফিফা রেফারি ব্যাজ পেয়েছিলেন সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার।
শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রেফারিদের দ্বিতীয়বারের মতো ফিটনেস পরীক্ষা হয়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য জয়া দ্বিতীয় দফার পরীক্ষাতেও অনুত্তীর্ণ হন। যার প্রেক্ষিতে এবার তার নাম ফিফার কাছে পাঠানো হবে না বলে জানিয়েছেন রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান তৈয়ব হাসান।
দেশের ফুটবলে রেফারিং নিয়ে রয়েছে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। ফিটনেস পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়া ব্যক্তিদের নাম ফিফার কাছে পাঠানোর মতো গুরুতর অভিযোগ বাফুফের বিরুদ্ধে রয়েছে।
২০২৩ সালে জয়া পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও বাফুফের রেফারিজ কমিটি চাপের মুখে তার নাম ফিফায় পাঠাতে বাধ্য হয় বলে জানা গেছে। তৈয়ব হাসান জানান, পরীক্ষার পর রেফারিজ কমিটির সভায় শুধু উত্তীর্ণদের নামই এবার ফিফায় প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সহকারী রেফারি সালমা অবশ্য তালিকায় আছেন। বিদেশে এএফসির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় তাকে দেশের মাটিতে আলাদাভাবে ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হয়নি।
গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম দফা ফিটনেস পরীক্ষায় ৬ জন পুরুষ রেফারি ও সহকারী পুরুষ রেফারি উত্তীর্ণ হন। কোটা চারটি থাকায় দুইজন (সবুজ ও জসীম) বাদ পড়েন। সহকারী রেফারির কোটা অনুযায়ী ৬ জনই পাস করলেও একজনের পাসপোর্ট না থাকায় গতকাল আবার পরীক্ষা নেওয়া হয়। সহকারী রেফারিদের মধ্যে একজন পাস করেছেন।
৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিফায় রেফারি, সহকারী রেফারিদের নাম প্রেরণ করতে হবে। বাফুফে একদিন আগেই তালিকা প্রেরণ করবে বলে জানালেন তৈয়ব হাসান, ‘রেফারি ও সহকারী রেফারির তালিকা চ‚ড়ান্ত করে আমরা প্রেরণ করব।’
যাযাদি/ এসএম