ম্যাচের আগে এস্পানিওলের কোচ হুমকি দিয়েছিলেন, বার্সালোনাকে হারাবেন। কোচের কথা রাখতে চেষ্টা করলেন শিষ্যরা। তবে হ্যান্সি ফ্লিকের কৌশলের কাছে মার খেয়ে গেলেন, বার্সেলোনার ‘হাইলাইন’ ডিফেন্সের ফাঁদে পড়ে বাদ গেল দুই গোল। বিপরীতে তিনবার জাল খুঁজে নিলো বার্সেলোনা। আর তাতেই লা লিগার ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলো কাতালানরা।
রোববার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন দানি অলমো, অন্য গোলটি করেছেন রাফিনহা। এস্পানিওলের হয়ে ব্যবধান কমিয়েছেন হাভি পুয়াদো।
ম্যাচের শুরুতে স্পেনে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শুরু হয় খেলা। দশ মিনিটের মধ্যেই প্রথম আক্রমণ করে বার্সেলোনা। অষ্টম মিনিটে লাফিয়েও হেড লক্ষ্েয রাখতে পারেননি ওলমো। দুই মিনিট পর গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন তিনি।
অবশেষে তৃতীয়বারে সাফল্য পান ওলমো। দ্বাদশ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের ক্রসে অনায়াসে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ তারকা। ২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাফিনহা। মাঝমাঠ থেকে মার্ক কাসাদো বল বাড়িয়েছিলেন। দৌড়ের ওপর থাকা রাফিনহা গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জাল খুঁজে নেন।
২৭তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠিয়ে উল্লাস শুরু করে এস্পানিওল। কিন্তু অফসাইডের জন্য হতাশায় পুড়তে হয় তাদেরকে। ৩১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ওলমো। রাফিনিহার পা হয়ে বল পান আলেসান্দ্রো বাল্দে। তার কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতির শটে আসরে নিজের পঞ্চম গোলটি করেন ওলমো।
দ্বিতীয়ার্ধে একই রকম শুরু করে বার্সেলোনা। পাল্টা আক্রমণ চালায় এস্পানিওলও। ৫৮তম মিনিটে জালে বলও পাঠায় তারা। তবে এবারও অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল! দুই মিনিট পর পুয়াদোর শট ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ইনিকি পেনা। বাকি সময়ে আর কোনো গোল হয়নি।
এই জয়ে ১২ ম্যাচে ১১ জয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় বার্সেলোনা। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রিয়াল মাদ্রিদ। তারা অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে। ১২ ম্যাচে অষ্টম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া এস্পানিওল আছে ১৭ নম্বরে। তাদের পয়েন্ট ১০।
যাযাদি/ এসএম