চট্টগ্রাম কিংস রোমাঞ্চকর জয়ে ফাইনালে 

প্রকাশ | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ছবি: যায়যায়দিন

খুলনার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ে বিপিএলের  ফাইনালে উঠেছে চট্টগ্রাম কিংস। আজ মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে  সেমিফাইনালে আলিস ইসলামের বাজিমাত। তরুন পেসার মুশফিকের করা শেষ ওভারে ১৫ রান করতে পারলেই ফাইনালে উঠতে পারতো তারা। আলিস ও সানি মিলে সেই সমীকরণ মিলিয়েছেন অবিশ্বাস্যভাবে। 

শেষ বলে যখন ৪ রান দরকার তখন আবারও মাঠে নামা আলিস এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে চার মেরে চিটাগংয়ের জয় নিশ্চিত করেছেন। খুলনাকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ১১ বছর পর বিপিএলে ফেরা চিটাগং। ৭ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে তাদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি চিটাগংয়ের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হাসান মাহমুদকে ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন নাফে। একই ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে চার মেরেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ভালো শুরুর আভাস দিলেও তাদের দুজনের জুটি স্থায়ী হয়নি। পরের বলে হাসানের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়েছেন ইমন।

মোহাম্মদ নাওয়াজ সহজ ক্যাচ নিলে বাঁহাতি ওপেনারকে ফিরতে হয় ৪ রানে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে গ্রাহাম ক্লার্কের উইকেটও নিয়েছেন হাসান। ডানহাতি পেসারের অফ স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ইংলিশ এই ব্যাটার। ক্লার্কের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৪ রান। দ্রুতই দুই উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নাফে এবং তালাত।

তারা দুজনে মিলে চিটাগংকে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা নাফে ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মিরাজের বলে ছক্কা মেরে। পাকিস্তানের তরুণ ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরির পরই ছন্দপতন হয় চিটাগংয়ের। ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই উইকেট নেন নাসুম। বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে অ্যালেক্স রসের হাতে ক্যাচ দেন ৪০ রান করা তালাত। 

নিজের পরের ওভারে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর উইকেটও নেন নাসুম। বাঁহাতি স্পিনারের শর্ট ডেলিভারিতে ফাইন লেগ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে টপ এজ হয়ে শর্ট ফাইন লেগে থাকা হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। পরের ওভারে ২ উইকেট নিয়ে চিটাগংয়ের লাগাম টেনে ধরেন মুশফিক। ডানহাতি পেসারের ব্যাক অব লেংথের স্লোয়ার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন ৫৭ রান করা নাফে। একই ওভারে ফিরেছেন খালেদ আহমেদও। 

তখন চিটাগংয়ের একমাত্র বিশেষজ্ঞ ব্যাটার হিসেবে ছিলেন অধিনায়ক মিঠুন। রান তোলার চাপে তিনিও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। হাসানের লেংথ ডেলিভারিতে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে আফিফ হোসেনকে ক্যাচ দিয়েছেন মিঠুন। তাতেই ফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে যাওয়ার কথা চিটাগংয়ের। তবে অবিশ্বাস্য এক সমীকরণ মিলিয়ে চিটাগংকে জয় এনে দেন আলিস ও সানি। খুলনার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন মুশফিক ও হাসান। দুটি উইকেট পেয়েছেন নাসুম।

যাযাদি/ এস