বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলে অবসরে যাবেন ম্যাথুজ
প্রকাশ | ২৩ মে ২০২৫, ১৫:৪৫

আগামী মাসে শ্রীলংকার ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। ১৭ জুন থেকে গলেতে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। গল টেস্ট দিয়ে এই সংস্করণে দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন শ্রীলংকার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ।
দেশের প্রয়োজন হলে সাদা বলের ক্রিকেটে এখনো খেলতে প্রস্তুত ৩৭ বছর বয়সি ম্যাথুজ। তবে প্রায় এক বছর ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে সুযোগ পাচ্ছেন না তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে শুক্রবার টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান ম্যাথুজ,‘ শ্রীলংকার হয়ে গত ১৭ বছর ধরে ক্রিকেট খেলা আমার জন্য সর্বোচ্চ সম্মান ও গর্বের বিষয়। আমি ক্রিকেটকে সবকিছু দিয়েছি, বিনিময়ে ক্রিকেট আমাকে সবকিছু দিয়েছে এবং আমাকে আজকের এই ব্যক্তি হিসেবে পরিণত করেছে। গত ১৭ বছর ধরে শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলতে পারা আমার জন্য সর্বোচ্চ সম্মান ও গর্বের বিষয়। দেশপ্রেম ও জাতীয় দলের জার্সির অধীনে থাকার এমন অনুভূতি অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না।’
১৭ জুন গল টেস্ট দিয়ে লাল বলের ক্রিকেট ছাড়বেন তিনি, ‘ক্রিকেটের জন্য আমি সর্বস্ব দিয়েছি এবং বিনিময়ে পেয়েছি সব, যা আমাকে আজকের আমিতে পরিণত করেছে। আমার ক্যারিয়ারের উত্থান-পতনে সঙ্গে থাকা প্রতিটি শ্রীলঙ্কান সমর্থকের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। জুনে বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্ট হবে লাল বলে দেশের জার্সিতে আমার শেষ ম্যাচ।’
‘নির্বাচকদের সঙ্গে আলোচনা করে টেস্ট ফরম্যাটকে বিদায় জানালেও, আমার দেশের যখন প্রয়োজন হবে, তখন সাদা বলের ফরম্যাটের জন্য আমাকে পাওয়া যাবে।’ তিনি আরও যোগ করেন।
২০২৬ সালে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে শ্রীলংকা। ম্যাথুজকে সেই আসরের দলে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ম্যাথুজের টেস্ট অভিষেক ২০০৯ সালে। এখন পর্যন্ত ১১৮ টেস্টে ৪৪.৬২ গড়ে তার রান ৮ হাজার ১৬৭। ১৬টি সেঞ্চুরির পাশে ফিফটি আছে ৪৫টি।
ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে শ্রীলংকার হয়ে তার চেয়ে বেশি রান আছে কেবল কুমার সাঙ্গাকারা (১২ হাজার ৪০০) ও মাহেলা জায়াওয়ার্দেনের (১১ হাজার ৮১৪)।
২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৩৪ টেস্টে শ্রীলংকাকে নেতৃত্বে দিয়েছেন ম্যাথুজ। যেখানে জয় ১৩টি। এর মধ্যে আছে স্মরণীয় কিছু জয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টে। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাথুজের ব্যাট থেকে এসেছিল ২৪৯ বলে ১৬০ রানের ইনিংস। ওই ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতেছিল লংকানরা। সেটিই ছিল ইংল্যান্ডের মাটিতে তাদের প্রথম একাধিক ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়।