তিন উপদেষ্টার নিয়োগের ব্যাখ্যা দিলেন বুলবুল
প্রকাশ | ২০ জুন ২০২৫, ১৭:২০

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ বোর্ড সভায় তিনজন উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিয়েছে। কিন্তু উপদেষ্টা নিয়োগের প্রক্রিয়া মানা হয়নি বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে।
বিসিবি জানিয়েছে, সাখাওয়াত হোসেনকে ক্রিকেট টুরিজম উপদেষ্টা, ব্যারিস্টার শেখ মাহাদি হাসানকে আইনি উপদেষ্টা ও সৈয়দ আবিদ হোসেন সামিকে ক্রিকেট উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে সভাপতি সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যের একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করতে পারেন। কিন্তু উপদেষ্টা হতে হবে ‘দেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার/প্রখ্যাত ক্রিকেট সংগঠকদের’ মধ্যে থেকে কেউ। তবে যে তিন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা কেউই ক্রিকেটার বা সংগঠক নন।
তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা নিয়োগ পেয়েছে সেটা নিয়েই উঠেছে বড় ধরণের প্রশ্ন। কোনো পারিশ্রমিক কিংবা নির্দিষ্ট টাইম ফ্রেমে তারা কাজ করবেন না। তারপরও তাদের নিয়োগ যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি। বিসিবির নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ধারনা দিলেন, তাদের নিয়োগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘অ্যাডজাস্ট’ করবেন তিনি। এজন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
গণমাধ্যমে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ‘‘চলার পথে যত আইনি সহায়তার প্রয়োজন, সেজন্য ব্যারিস্টার মাহাদিকে আইন উপদেষ্টা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। ক্রিকেটের মানুষ হওয়াতে আইনগত অনেক কিছু জানা নেই। উনার পরামর্শে আইনি বিষয়গুলো সামলাবে বিসিবি।’’
এদিকে ক্রিকেট উপদেষ্টা হিসেবে সামির নিয়োগ দিয়ে বুলবুলের ব্যাখ্যা,‘ ক্রিকেটে এখন অনেক ব্যাপার চলে এসেছে। ডিজিটালাইজেশন বলুন, স্ট্রিমিং বলুন, সামাজিক মাধ্যম সামলানো, এরপর আমরা যেহেতু তৃণমূলে যাচ্ছি, তাদেকে আমরা কীভাবে সম্পৃক্ত করব, করার পর তাদেরকে কীভাবে গড়ে তুলব, এজন্য আমাদের সাপোর্ট দরকার। তাকে আমরা ওই কাজগুলিতে ব্যবহার করব।’
আর ট্যুরিজম উপদেষ্টা ক্রিকেটের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরবে বলে আশাবাদী বুলবুল, ‘‘বাংলাদেশের ট্যুরিজম ও হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি এখন নাম্বার ওয়ান। আমাদের কক্সবাজার ভেন্যু, সিলেট ভেন্যু, এছাড়াও ঢাকায় যখন খেলা হয়, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের পাশাপাশি ২০২৭ সালে মেয়েদের অনূধর্ব-১৯ বিশ্বকাপ আছে এখানে, সে বছর এশিয়া কাপ আছে, ২০৩১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে, এই ধরনের সব ইভেন্ট ধরে যেন তাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি।’’
সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও তিনজন উপদেষ্টাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বলে দাবি করলেন বুলবুল। তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে সমালোচনাও হয়নি। বুলবুলের দাবি, আইন উপদেষ্টা বাদে বাকি দুজনের পরামর্শ বোর্ড চাইলে গ্রহণ করবে। নয়তো তারা কেউই নিজের ইচ্ছাতে বোর্ডকে কোনো পরামর্শ দেবেন না।