না ফেরার দেশে ইংল্যান্ডের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার লরেন্স

প্রকাশ | ২২ জুন ২০২৫, ১৯:২৫

ক্রীড়া ডেস্ক
ডেভিড ‘সিড’ লরেন্স

৬১ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ফাস্ট বোলার ডেভিড ‘সিড’ লরেন্স। তিনি ছিলেন ইংল্যান্ড দলের ইতিহাসে প্রথম বৃটিশ বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার। এক বছর ধরে মোটর নিউরন ডিজিজে (এমএনডি) আক্রান্ত থাকার পর রোববার তার পরিবার এই দুঃসংবাদ জানায়।

 

গত বছর লরেন্সের মোটর নিউরন রোগ ধরা পড়ে। এটা একটি স্নায়বিক রোগ, যা ধীরে ধীরে পেশী দুর্বল করে দেয় এবং মস্তিষ্ক ও স্নায়ুপ্রবাহে প্রভাব ফেলে।

 

পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রাজকীয় সম্মানপ্রাপ্ত ডেভ লরেন্স এমবিই আমাদের ছেড়ে গেছেন। এমএনডি-এর বিরুদ্ধে তাঁর শেষ লড়াইটিও ছিল অন্য সব যুদ্ধের মতোই সাহসিকতায় ভরা।’

 

‘অনুপ্রেরণাদায়ী এই মানুষটি ছিলেন গ্লসস্টারশায়ারের গর্ব। তিনি সবকিছু করতেন পুরোদমে—চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে কখনো পিছপা হননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্তও তিনি অন্যদের কথা ভাবতেন, উৎসাহ দিতেন—এটাই ছিল তাঁর প্রকৃত রূপ।’

 

ইংল্যান্ডের হয়ে ৫টি টেস্ট খেলেছেন লরেন্স। গ্লসস্টারশায়ারের হয়ে তিনি ২৮০ ম্যাচে অংশ নিয়ে নিয়েছেন ৬২৫ উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৮৮ সালে লর্ডসে টেস্টে অভিষেক হয় তার। ১৯৯১ সালে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার ৫ উইকেটের স্পেল ছিল ক্যারিয়ারের স্মরণীয় এক মুহূর্ত।

 

২০২২ সালে তিনি গ্লসস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। চলতি বছর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাকে প্রথম দফার ‘অনারারি লাইফ ভাইস প্রেসিডেন্ট’ সম্মাননা দেয়।

 

ইসিবি চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন বলেন, ‘সিড ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটের এক সত্যিকারের পথপ্রদর্শক। সাহস, ব্যক্তিত্ব আর সহানুভূতির এক অনন্য প্রতীক। তিনি শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও রেখেছেন গভীর প্রভাব। পেস ও উদ্দীপনায় দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। নেতৃত্ব ও সামাজিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন প্রতিবন্ধকতা ভাঙার অগ্রদূত—একজন উদাহরণস্বরূপ ব্যক্তিত্ব যিনি ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।’