তাইজুলের ৫ উইকেট

কলম্বো টেস্টে শ্রীলংকা অলআউট ৪৫৮ রানে

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৫, ১৪:৩৫ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫, ১৫:০৩

ক্রীড়া ডেস্ক
সংগৃহীত 

কলম্বো টেস্টের আগেরদিনের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারী বাংলাদেশ দল। আজ শুক্রবার (২৭ জুন) কলম্বোতে তৃতীয় দিনে শ্রীলংকাকে কোনো সুযোগই দেয়নি টাইগার বোলাররা। প্রথম সেশনেই চেপে ধরেছিল তাইজুল-নাঈমরা। এতে সম্ভাবনা জেগেছে দ্রুতই গুটিয়ে দেওয়ার।

 

শেষ পর্যন্ত সেই সম্ভাবন কে বাস্তবে রুপ দিতে পেরেছে টাইগার বোলাররা। কলম্বো টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫৮ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলংকা। এতে ২১১ রানের লিড পেয়েছে লংকানরা। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ১৩১ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিয়ারের ৫৬তম টেস্ট খেলতে নেমে ১৭তম বারের মতো ফাইফার পূর্ণ করলেন তিনি।

 

এর আগে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২৪৭ রান। আজ শুক্রবার ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে কলম্বো টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। ১৫ রান যোগ করতেই দিনের প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে দলীয় ৩০৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দল।

 

দিনের ষষ্ঠ আর ইনিংসের ৮৪তম ওভারের প্রথম বলে নিশাঙ্কাকে এনামুল হক বিজয়ের ক্যাচ বানান বাঁহাতি টাইগার স্পিনার তাইজুল। ২৫৪ বলে ১৫৮ রান (১৯ চারে) করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান লঙ্কান ওপেনার।

 

তাইজুলের বলে সামনে এগিয়ে এসে পুল করতে চেয়েছিলেন নিশাঙ্কা। কিন্তু ব্যাটে-বলে ভালো সংযোগ না ঘটায় ধরা পড়েন শর্ট কভার অঞ্চলে ফিল্ডিং করা বিজয়ের হাতে।

 

ব্যাক টু ব্যাক বোলিংয়ে এসে নতুন ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। ৮৬তম ওভারের পঞ্চম বলে ডি সিলভাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। আম্পায়ার সরাসরি আঙুল তুলে দিলেও রিভিউ দেন লঙ্কান অধিনায়ক। তাতে অবশ্য কোনো লাভ হয়নি। ডিআরএসে বল স্টাম্পে হিট করায় আউটের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন আম্পায়ার। দলীয় ৩১৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

 

২২ রান যোগ হতেই লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন নাহিদ রানা। ৮৯তম ওভারের শেষ বলে প্রবাত জয়সুরিয়াকে (৩৯ বলে ১০) থার্ড স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানান টাইগার পেসার। এই সিরিজে এটি রানার প্রথম উইকেট।

 

৯৯তম ওভারের পঞ্চম বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান নাঈম ইসলাম। বাঁহাতি লঙ্কান ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন ডানহাতি টাইগার স্পিনার। ৪১ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন কামিন্দু।