জুভেন্টাসকে বিধ্বস্ত করে নকআউটে ম্যানসিটি
প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২৫, ১৫:৫৬

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ৭ গোলের থ্রিলারে জুভেন্টাসকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৫-২ ব্যবধানের জয়ে জি-গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি। বৃহস্পতিবার রাতে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসের রক্ষণভাগের দুর্বলতাই যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার দল।
উভয় দল আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছিল। গ্রুপের শেষ ম্যাচটি তাদের জন্য ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে ম্যানসিটি। গ্রুপ পর্বে একমাত্র দল হিসেবে তিনটি ম্যাচেই জয় পাওয়া ম্যানসিটি বুঝিয়ে দিয়েছে কেন তারা শিরোপার অন্যতম দাবিদার।
জুভেন্টাসের (৬) চেয়ে তিন পয়েন্ট বেশি নিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে ম্যানসিটি (৯)। শেষ ষোলোতে গ্রুপ এইচ-এর চ্যাম্পিয়নের (রিয়াল মাদ্রিদ) মুখোমুখি হবে জুভেন্টাস।
এদিন ম্যাচের নবম মিনিটেই জেরেমি ডোকুর গোলে লিড নেয় ম্যানসিটি। নতুন সাইনিং রায়ান আইত-নোরির দুর্দান্ত পাস থেকে নিখুঁতভাবে ফিনিশ করেন বেলজিয়ান তারকা। ম্যানসিটির গোলকিপার এডারসনের ভুলে দ্রুতই সমতা ফেরায় জুভেন্টাস। এডারসনের বাজে ক্লিয়ারেন্সের সুযোগ নিয়ে ১১ মিনিটে ইতালিয়ান ক্লাবটিকে সমতায় ফেরান টিউন কুপমেইনার্স।
আর ম্যাচের ২৬ মিনিটে সিটি আবারও এগিয়ে যায়। ম্যাথিউস নুনেস ডানদিক থেকে নিচু ক্রস পাঠান। জুভেন্টাস ডিফেন্ডার পিয়েরে কালুলু কোনো চাপ না থাকা অবস্থাতেই নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন। অর্থাৎ আত্মঘাতী গোল হজম করে জুভেন্টাস।
ম্যাচের বয়স ৫২ মিনিট হলে কাউন্টার-অ্যাটাকে সিটির হয়ে তৃতীয় গোল করেন আরলিং হালান্ড। এবারও অ্যাসিস্ট করেন নুনেস, দুর্দান্ত এক পাসে বল দেন হালান্ডকে। কাছ থেকে বল জালে ঠেলে দেন নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড।
আর এই গোলটি ছিল হালান্ডের ক্যারিয়ারের ৩০০তম ক্লাব ও আন্তর্জাতিক গোল। কিলিয়ান এমবাপে, লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর তুলনায় কম ম্যাচ খেলেই এই মাইলফলক অর্জন করেন তিনি।
জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে সিটির হয়ে চতুর্থ গোল ফিল ফোডেন। হালান্ডের নিচু ক্রস থেকে বল পেয়ে ফোডেনকে পাস দেন সাভিনহো।
এরপর সাভিনহো নিজেই জুভেন্টাসের কাঁটা গায়ে লবণ ছিটান। ৭৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলিয়ান তারকার জোরালো শট ক্রসবারে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। আর ম্যাচের ৬ মিনিট বাকি থাকতে দুশান ভ্লাহোভিচ জুভেন্টাসের পক্ষে একটি গোল শোধ দেন। সেটা ছিল নিতান্তই সান্ত্বনার।