ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রথম বড় শিকার লিয়া টমাস

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯:৩২

ক্রীড়া ডেস্ক
ট্রান্সজেন্ডার সাঁতারু লিয়া টমাস 

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প খুব একটা কঠোর অবস্থানে ছিলেন না। কিন্তু দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরেই ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। 

 

এবার তার কড়াকড়ির রেশ এসে পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। মেয়েদের খেলায় ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রথম বড় শিকার লিয়া টমাস।

 

যুক্তরাষ্ট্রের এই ট্রান্সজেন্ডার সাঁতারুর ২০২১–২২ মৌসুমে অর্জিত সব ব্যক্তিগত সাফল্য বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তার রেকর্ড মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, শিগগিরই কেড়ে নেওয়া হবে পদকও।

 

২০২২ সালে এনসিএএ চ্যাম্পিয়নশিপে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে মেয়েদের সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন লিয়া টমাস। প্রথম ট্রান্সজেন্ডার অ্যাথলেট হিসেবে স্বর্ণও জেতেন তিনি।

 

নারী ক্রীড়াবিদদের মতে, মেয়েদের বিভাগে অংশ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে বৈষম্য করেছেন লিয়া। কারণ এর আগে পুরুষ বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা লিয়া টমাসের অবস্থান ছিল ৪৬২তম। আর মেয়েদের বিভাগে অংশ নিয়েই উঠে আসেন শীর্ষে।

 

আর এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে আইনি লড়াই চলছিল। অভিযোগ উঠেছিল, লিয়াকে খেলতে দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ঞরঃষব ওঢ আইন লঙ্ঘন করেছে। ১৯৭২ সালে পাস হওয়া এই আইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য নিষিদ্ধ করে।

 

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। চুক্তির আওতায় তারা লিয়া টমাসের ব্যক্তিগত সব রেকর্ড বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


একমাত্র দলীয় একটি ইভেন্টে তার রেকর্ড থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় আরও জানিয়েছে, যারা প্রতিযোগিতায় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বা মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে ক্ষমাপত্র পাঠানো হবে।

 

এক বিবৃতিতে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ‘আমরা স্বীকার করি, আমাদের কিছু শিক্ষার্থী ক্রীড়াবিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’

 

নতুন আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও তৃণমূল ক্রীড়াস্তরে মেয়েদের বিভাগে আর কোনো ট্রান্সজেন্ডার ক্রীড়াবিদ অংশ নিতে পারবেন না। আদেশ অমান্য করলে সেই প্রতিষ্ঠানের ফেডারেল সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।