“ভারতীয় ক্রিকেটার শামি অহংকারী ও ছোট মানসিকতার”
প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৬:৫৭

ক্রিকেট মাঠে ভারতীয় দলকে সাফল্য পেতে দারুণ সাহায্য করে থাকেন ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ শামি। কিন্তু মাঠের বাইরে অর্থাৎ পারিবারিক জীবনে অনেক অহংকারী ও ছোট মানসিকতার বলে মনে করেন ভারতীয় পেসারের সাবেক স্ত্রী ও মডেল হাসিন জাহান। এর আগেও হাসিন জাহান শামিকে ‘ভুল মানসিকতার’ ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেছিলেন।
ভারতীয় ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামিকে স্ত্রী হাসিন জাহান ও কন্যা আয়রার রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৪ লাখ রুপি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। এর মধ্যে হাসিন জাহানকে প্রতি মাসে ১.৫০ লাখ রুপি ও কন্যাকে ২.৫০ লাখ রুপি করে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, এই অর্থ ৭ বছর আগের একটি তারিখ থেকে হিসাব করে দিতে হবে বলে আদালতের নির্দেশ।
এই মামলাটি ‘নারী ও শিশুদের পারিবারিক সহিংসতা থেকে সুরক্ষা আইন, ২০০৫’-এর আওতায় দায়ের করা হয়েছিল।
বিচারপতি অজয় কুমার মুখার্জি মঙ্গলবার নির্দেশ দেন, ‘মূল মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী ও কন্যার আর্থিক স্থিতি নিশ্চিত করতে এই রায় দেওয়া হলো।’
আদালত আরো বলেন, ‘শামি চাইলে কন্যার শিক্ষা বা অন্যান্য যৌক্তিক খরচে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত সহযোগিতা করতে পারেন।’
হাইকোর্টের এই রায়ের পরেই শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে মোহাম্মদ শামিকে ট্যাগ করে একটি পোস্ট করেন হাসিন জাহান। পোস্টটি ‘আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি জানু’ লাইন দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী অংশে ছিল তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
সেখানে শামিকে তিনি ‘লোভী’ ও ‘ছোট মানসিকতার’ মানুষ হিসেবে আখ্যা দেন।
এর আগেও হাসিন জাহান শামিকে ‘ভুল মানসিকতার’ ব্যক্তি বলে উল্লেখ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ভুল মানসিকতার মানুষ, যার মনে অপরাধ থাকে, যে নিজের পরিবার, স্ত্রী ও সন্তানকে সমস্যার মধ্যে ঠেলে দেয়—যে আগে কিছুই ছিল না, হঠাৎ করে অনেক কিছু পেয়ে যায়, তারা অহংকারে ভরে ওঠে। সেই অহংকারে তারা নিজেরাই জানে না কোন পথে হাঁটছে, কেন হাঁটছে, কী করছে।
এখন শামি পুরোপুরি অহংকারে ভরপুর। যেদিন এই অহংকার ভেঙে যাবে, সেদিন সে স্ত্রী, মেয়ে এবং নিজের সব ভুল মনে করবে। এখন সে এতটাই অহংকারে মত্ত যে সে আমার বা আমাদের মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো চেষ্টাই করেনি। শেষবার মেয়ের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল শুধুমাত্র মাননীয় বিচারপতি তীর্থাঙ্কর ঘোষের নির্দেশে, তার ভয়েই।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালে এক জেলা আদালত শামিকে স্ত্রীকে ৫০ হাজার ও কন্যাকে ৮০ হাজার রুপি করে মাসিক ভরণপোষণ দিতে বলেছিল।
আর সেই আদেশের বিরুদ্ধেই উচ্চ আদালতে গিয়েছিলেন হাসিন জাহান।