জোটার পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে লিভারপুল
প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪২

মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় অকালপ্রয়াত পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড দিয়েগো জোটার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে লিভারপুল। ইংলিশ গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জোটার বাকি দুই বছরের চুক্তির সম্পূর্ণ অর্থ প্রায় ১৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড তার পরিবারকে পরিশোধ করবে ক্লাবটি।
জোটার পরিবারের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা এখানেই শেষ নয়। সন্তানদের পড়াশোনার অর্থও দেওয়ার কথা ভাবছে লিভারপুল। এমনকি জোটার স্ত্রী রুট কারদোসোকেও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ভাবনা আছে ক্লাবটির।
জোটা মাসখানেক আগে লিভারপুলের ২০তম প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জয় উদযাপন করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী আরও দুই বছর তাদের সঙ্গে খেলতেন। কিন্তু অমোঘ নিয়তি তাদের আলাদা করে দিলো।
আর তাই বলে লিভারপুল জোতার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করছে না। চুক্তির বাকি অর্থ তার পরিবারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অলরেডরা। পর্তুগিজ আউটলেটগুলো এই কথা জানিয়েছে।
এছাড়া জোটার ২০ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠানো হচ্ছে। আজ শনিবার পর্তুগালে শোকাবহ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্তেষ্টিক্রিয়া।
২০২০ সালে লিভারপুলে চুক্তি করেন জোতা। দুই বছর পর পাঁচ বছরের চুক্তি নবায়ন করেন তিনি। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তার চুক্তির মেয়াদ। এই সময়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ পাউন্ড (প্রায় ১৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড) পেতেন তিনি। সেই অর্থ তার পরিবারের হাতে তুলে দেবে লিভারপুল।
জোটার অকাল মৃত্যুর পর থেকেই তার পরিবারকে সম্মান ও সমবেদনা জানিয়ে আসছে লিভারপুল। তাদের ব্যক্তিগত শোক পালনে প্রয়োজনীয় গোপনীয়তা নিশ্চিত করেছে ক্লাব। আর এবার এই আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে প্রিয় খেলোয়াড়ের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিল ক্লাবটি।
এটি লিভারপুলের পক্ষ থেকে শুধু দায়িত্ব নয়, প্রমাণও যে জোটার প্রতি তাদের সম্মান ও ভালোবাসা কতটা গভীর। ক্লাব সূত্র জানিয়েছে, ভবিষ্যতেও জোটার স্ত্রী রুট কার্ডোসো ও তাদের তিন ছোট সন্তানের জন্য অতিরিক্ত সহায়তার পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
গত ৩ জুলাই স্পেন হয়ে ইংল্যান্ডে যাচ্ছিলেন জোটা। সঙ্গে ছিলেন তার ভাই আন্দ্রে সিলভাও। স্পেনের জামোরা প্রদেশে এই দুর্ঘটনার শিকার হন জোটা। জামোরা প্রাদেশিক কাউন্সিল একটি বার্তায় জানিয়েছে, পালাসিওস দে সানাব্রিয়ার কাছে তাদের গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
মূলত একটি গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। চাকা ফেটে যায় তার ল্যাম্বোরগিনি গাড়ির। রাস্তার পাশে সঙ্গে সঙ্গেই গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে ততক্ষণে আর কিছুই করার ছিল না তাদের।
দুই ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে ফুটবল বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে ফুটবল বিশ্বের অনেকেই শোক বার্তা জানিয়েছেন তাদের মৃত্যুতে।