মহম্মদপুরে নৌকা বাইচ উপভোগে মধুমতির দুইতীরে মানুষের ঢল

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৫২

আর এ হান্নান, মহম্মদপুর (মাগুরা)

আনন্দ-উল্লাস ও উৎসবমূখরতায় উচ্ছ্বসিত হয়ে হেমন্তের চমৎকার বিকালটি সত্যিই চমৎকারভাবে উপভোগ করেন নানান শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগে উৎফুল্লতায় মাতেন তারা। মঙ্গলবার বিকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ঝামা এলকায় মধুমতি নদীর দ্ইুতীরে জনতার ঢল নামে। প্রতি বছর বিজয়া দশমীর পরের দিন এখানে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে মেলা বসে।

মাগুরাসহ পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলার লোহাগড়া এবং ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার আমুদে দর্শকরাও চলে আসেন মধুমতিপাড়ে। হাজার হাজার মানুষের উৎসবমূখর উপসিস্থতি নদীর দ্ইু তীরকে দৃস্টিনন্দন করে তোলে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই আমুদে দর্শকরা আসতে থাকেন। হরেকৃষ্ণপুর, মহেশপুর, ঝামা, দিগমাঝি, দেউলি, চরঝামা এবং চর দেউলি গ্রামে মধুমতির দ্ইুতীরে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আমুদে দর্শকদের প্রতীক্ষা।

 

কাঙ্খিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগের প্রতীক্ষা।

সব অপেক্ষা-প্রতীক্ষা শেষে বেলা তিনটা পনেরো মিনিটের সময় কাঙ্খিত নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

 

চড়ন্দারের ঘঁণ্টার টং টং আওয়াজের তালে তালে বাইচাররা বইঠা টানছেন হেলেদুলে। অন্যরকম উপভোগ্য আর আবহ তৈরি হয় নদীবক্ষে। হেমন্তের এই নির্মলতায় মধুমতি নদীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ও মনোমুগ্ধকর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দু’চোখ ভরে উপভোগ করে সবশ্রেণি পেশার মানুষ।

 

প্রতিযোগিতায় বাহারি রঙের ও সাঁজের ৫টি বাইচের নৌকা অংশ গ্রহণ করে। এতে মহম্মদপুরের কালিশংকরপুর গ্রামের কবির হোসেন মোল্যার নৌকা প্রথম, মহম্মদপুর সদরের আতিকুর রহমানের নৌকা দ্বিতীয় এবং হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের আতর মোল্যার নৌকা তৃতীয় স্থান দখল করে।

 

সন্ধ্যায় মেলা মঞ্চে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী নৌকা মালিকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেলা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেবী নাজনীন।