কর অঞ্চলে উপচেপড়া ভিড়

আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, বিজয়নগরের বিভিন্ন কর অঞ্চল ঘুরে দেখা মিলেছে এমন চিত্রের
আয়কর রির্টান দাখিলের সময়সীমা ঘনিয়ে আসায় কর অঞ্চলগুলোতে করদাতা-সেবাগ্রহীতাদের আনাগোনা বেড়েছে। চলমান মহামারির মধ্যেও বেশ কিছু কর অঞ্চলে ছিল করদাতাদের উপচেপড়া ভিড়। আবার কোথাও কোথাও একদমই ফাঁকা। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, বিজয়নগরের বিভিন্ন কর অঞ্চলে ঘুরে দেখা মিলেছে এমন চিত্রের। কর কর্মকর্তারা জানান, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যাবে। শেষ সপ্তাহে করদাতাদের চাপ সামলাতে বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। করোনা সংক্রমণ রোধে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল ১, ৭, ৮,১০, ১১ ও বিজয়নগরের কর অঞ্চল ১৪ ঘুরে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়া মিলছে না সেবা। কিছু কর অঞ্চলে তাপমাত্রা মেপে সেবা প্রার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। আর রিটার্ন জমা শেষে দ্রম্নত স্থান ত্যাগ করতে করদাতাদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এছাড়া, করদাতাদের উৎসাহ দিতে দেওয়া হচ্ছে আয়কর নিরূপণ এবং আয়কর সংক্রান্ত তথ্য কণিকা ও প্রীতি উপহার। সেগুনবাগিচার নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর অঞ্চল-১০ এ গিয়ে দেখা গেছে, ৩টি অস্থায়ী রিটার্ন বুথ বসানো হয়েছে। দুপুরের দিকে ভিড় কম থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে কর দিয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। বিজয়নগরে আত-ত্বরিক টাওয়ারে কর অঞ্চল-১৪ ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের নিচ তলায় স্থাপন করা হয়েছে ৬টি আলাদা রিটার্ন গ্রহণ বুথ। প্রতিটি বুথে সার্কেল নম্বর লেখা রয়েছে। করদাতারা লাইনে দাঁড়িয়ে নিজ নিজ সার্কেলে রিটার্ন দাখিল করছেন। এছাড়া তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সেবা নিচ্ছেন তারা। রিটার্ন বুথগুলো মনিটরিং করছেন কর কমিশনার। এছাড়া, সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। করদাতাদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তোপখানার সারিকা টাওয়ার ও তার পাশের ভবনে চারটি কর অঞ্চলে প্রায় ২০টি রিটার্ন বুথ বসানো হয়েছে। সেগুনবাগিচার কর অঞ্চল ৭ ও ১১- তে সেবাগ্রহীতার ভিড় ছিল। কর অঞ্চল-১ এবং ৮ ছিল প্রায় ফাঁকা। সেগুনবাগিচার নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কর অঞ্চল-১০ এ দুপুরে ভিড় কম ছিল। করদাতাদের সেবা দিতে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ব্রম্নশিয়ার। ব্রম্নশিয়ারে করমুক্ত আয়সীমা, নূ্যনতম কর, ব্যক্তি করদাতার সারচার্জ, রেয়াতের হার, কোন খাতে বিনিয়োগ রেয়াতযোগ্য, বেতন খাতে করযোগ্য আয় নিরূপণ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতার করযোগ্যতা ও কৃষি খাতের আয় নিরূপণের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আয়কর আইনে রিটার্ন দাখিলের ব্যর্থতা এবং জরিমানাও তুলে ধরা হয়েছে। বিজয়নগর কর অঞ্চল-১৪ এ দায়িত্বরত ঢাকার কর কমিশনার খন্দকার মো. ফেরদৌস আলম বলেন, 'এবার মেলার আদলে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এখানে সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। একজন সেবাগ্রহীতা সর্বোচ্চ ১ মিনিটের মধ্যে রিটার্ন জমা দিতে পারছেন। খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। আশা করি এবার গত বছরের চেয়ে বেশি রিটার্ন দাখিল হবে।' কর অঞ্চল ১০ এ রিটার্ন জমা দেওয়া সরকারি কর্মকর্তা আমিনুল বলেন, 'এবারের মেলার পরিবেশ ভালো। আরামেই ঝামেলা ছাড়া রিটার্ন জমা দেওয়া গেছে। এখন করোনার সঙ্গেই আমাদের থাকতে হবে। তাই যতটা সম্ভব দেখেশুনে সবাই রিটার্ন দিতে এসেছেন।'