আইনি লড়াই চালাবেন নওয়াজ পাকিস্তানেও ফিরবেন

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নওয়াজ শরিফ
যাযাদি ডেস্ক দুনীির্তর দায়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর দেশে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। শুক্রবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন। এদিকে, রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় দিনটিকে ‘কালো দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তার ভাই ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ। তবে, এ রায়ের মধ্যদিয়ে নতুন পাকিস্তানের জন্ম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পাটির্র (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। সংবাদসূত্র : বিবিসি, ডন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে শুক্রবার ১০ বছরের কারাদÐ দেয় দেশটির আদালত। ওই রায়ে তার মেয়ে মরিয়মকেও সাত বছরের কারাদÐ দেয়া হয়েছে। এই রায় ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। দেশে ফিরে তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান। নওয়াজ বলেন, ‘কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার ইচ্ছা আমার নেই। আমার স্ত্রী একটু সুস্থ হলেই আমি দেশে ফিরে যাব। পাকিস্তানের জনগণ মুক্ত না হওয়া পযর্ন্ত আমি সংগ্রাম চালিয়ে যাব। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার বিষয়ে এরই মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’ বতর্মানে লন্ডনে চিকিৎসাধীন ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীর পাশে থাকতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেখানে অবস্থান করছেন নওয়াজ। তবে দেশে ফেরার সুনিদির্ষ্ট কোনো তারিখ উল্লেখ করেননি তিনি। এদিকে রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন নওয়াজ শরিফের ভাই ও পাকিস্তান মুসলিম লিগের-এন-এর সভাপতি শাহবাজ শরিফ। শাহবাজ বলেন, ‘এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, আগামী ২৫ জুলাই মানুষ ভোটের মাধ্যমে তাদের আসল রায় দেবে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন এই রায় প্রত্যাখ্যান করছে।’ তবে এই রায়ে আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নতুন পাকিস্তানের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দল পিটিআইর প্রধান ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘আজ পাকিস্তানিদের আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া প্রকাশ করা উচিত। কেননা এই রায়ের মধ্যদিয়ে দুনীির্তমুক্ত নতুন একটি পাকিস্তানের জন্ম হলো।’ লন্ডনে চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অথের্র বৈধ উৎস দেখাতে ব্যথর্ হওয়ায় শুক্রবার নওয়াজ ও তার মেয়েকে কারাদÐ দেয় আদালত। একই সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হয়। এর আগে ২০১৫ সালে পানামা কেলেঙ্কারিতে নাম আসে নওয়াজের। ওই অভিযোগে গত বছর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হয় তাকে। একই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদও ছাড়তে বাধ্য হন পাকিস্তানের তিনবারের এই প্রধানমন্ত্রীকে।