সিরাজগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘষর্ এমপি প্রাথীর্সহ ৪৪ জন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:৪৬

যাযাদি ডেস্ক

সিরাজগঞ্জে পুলিশ-বিএনপির সংঘষের্ পুলিশের শটগান, গ্যাস সেল ও বিএনপির ইটপাটকেল নিক্ষেপে বিএনপির এমপি প্রাথীর্ রুমানা মাহমুদসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪৪ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর শহরের ইসলামিয়া কলেজ রোড সংঘষের্র সূত্রপাত হলে দ্রæত তা পাশের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে বিক্ষুব্ধ নেতাকমীর্রা। আহতের সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভতির্ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, শুক্রবার তাদের এমপি প্রাথীর্ ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সহধমির্ণী রুমানা মাহমুদ ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জে আসেন নিবার্চনী প্রচারণার জন্য। সে কারণে সন্ধ্যার পর দলের নেতাকমীর্রা নিবার্চনী প্রচারণার জন্য তার বাসভবনে জড়ো হন। এ সময় আওয়ামী লীগের একটি নিবার্চনী মিছিল বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়। পরে এমপি প্রাথীর্ রুমানা মাহমুদকে নিয়ে অফিসে যাওয়ার পথে ইসলামিয়া কলেজ রোডে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পুলিশ নিবির্চারে শটগানের গুলি ও গ্যাস সেল নিক্ষেপ করে। এতে রুমানা মাহমুদসহ দলের কমপক্ষে ৪০ নেতাকমীর্ আহত হন। এদের মধ্যে দুই চোখে গুলিবিদ্ধ শহর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক মেরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতরা স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গেলে পুলিশ ছাত্রদল নেতা ফরিদ, সীমান্তসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার মোবাইল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। এদিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সদর থানার মোবাইল টিম শহরের ধানবান্ধী এলাকায় টহল দেয়ার সময় বিএনপির কিছু লোকজন অতকির্ত পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল করে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা আরও মারমুখী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ জানমাল ও সরকারি সম্পদ রক্ষাথের্ শটগান ও গ্যাসসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিএনপির লোকজনের ইটপাটকেলের আঘাতে একজন এসআই ও তিনজন কনস্টেবল আহত হন। বতর্মানে তারা সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।