চট্টগ্রামের আউটার রিং রোডের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক

পতেঙ্গা থেকে সাগরিকা পযর্ন্ত সিটি আউটার রিং রোডের ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে এ রোডে যান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে চার লেনের এ সড়কটির নিমার্ণ কাজ শুরু হয়। আড়াই হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ (সিডিএ)। ২০১৯ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। উপক‚লীয় বঁাধ কাম আউটার রিং রোড নিমার্ণ নামে এ প্রকল্পের আওতায় ১৭ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নিমার্ণ হবে। এর মধ্যে ১৫ দশমিক ২০ কিলোমিটার মূল ও ২ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। সড়কটি দক্ষিণ কাট্টলী থেকে সংযোগ রোডের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে সাগরিকায় পোটর্ কানেকটিং রোড ও পতেঙ্গা থেকে কণর্ফুলী নদীর তলদেশে নিমার্ণাধীন টানেলের সঙ্গে যুক্ত হবে। এজন্য সাগরিকা অংশে একটি ফ্লাইওভার নিমার্ণ করা হবে। পারাপারের জন্য থাকবে ১০টি ওভারব্রিজ। সোমবার সরেজমিন সাগরিকা থেকে পতেঙ্গা পযর্ন্ত ঘুরে দেখা যায়, রাসমনি ঘাট থেকে আটির্লারি সেন্টার পযর্ন্ত রাস্তা তৈরির জন্য মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ওই অংশে দুটি ¯øুইস গেট নিমাের্ণর কাজ শেষ পযাের্য়। আটির্লারি সেন্টার থেকে হালিশহর আনন্দবাজার পযর্ন্ত রাস্তা তৈরির কাজ শেষ। ওই অংশে চলছে বিভাজক (ডিভাইডার) তৈরির কাজ। আকমল আলি বেড়িবঁাধ থেকে পতেঙ্গা পযর্ন্ত সড়কের সাব-বেইজ শেষ। কিছু অংশে বিটুমিন বসানো হয়েছে। ব্রিজ নিমার্ণ ও সাগর ঘেঁষে সীমানা দেয়াল তৈরির কাজ এখনো চলছে। তবে জমি নিয়ে জটিলতায় কিছু অংশে (দুই লেনের) মাটি ভরাটও হয়নি। এ ছাড়া পতেঙ্গা থেকে সড়কটির পাশ ঘেঁষে ৫০০ ফুটজুড়ে ওয়াকওয়ে তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। চলছে সিমেন্টের বøক বসানোর কাজ। এদিকে সাগরিকা অংশে প্রস্তাবিত ফ্রাইওভারের নকশা নিয়ে জটিলতাও কেটে গেছে। সেখানে ফ্লাইওভারের গাডাের্রর পাইলিং চলছে। প্রকল্পের পরিচালক ও সিডির’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, প্রকল্পের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ। ২০১৯ সাল পযর্ন্ত কাজের মেয়াদ থাকলেও চলতি বছরের মাঝামাঝিতে যান চলাচল করবে। ‘বঁাধের ওপর সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ হবে। এটি চালু হলে বন্দর, শিল্প কারখানা ও বিমানবন্দরগামী যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারবে। ফলে নগরের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোর ওপর চাপ কমবে। উপক‚লীয় বঁাধ নিমাের্ণর মাধ্যমে বন্যা ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ¡াস থেকে শহর, বিমানবন্দর, ইপিজেডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূণর্ স্থাপনাসমূহ রক্ষা হবে।’ জাপান আন্তজাির্তক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ২০০৫ সাল থেকে পতেঙ্গা হতে ফৌজদারহাট পযর্ন্ত বেড়িবঁাধ কাম আউটার রিং রোড নিমাের্ণর জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করে। যাচাই শেষে জাইকা ২০০৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে। শুরুতে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৮৬৫ কোটি ২৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দুই বার সংশোধনের পর বতর্মানে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭২০ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ও জাইকার সহায়তা ৭০৬ কোটি টাকা।