নোয়াবের রিটে আটকে গেল নবম ওয়েজবোর্ড

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন বাড়াতে নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছে হাইকোর্ট। নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি হিসেবে দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ অলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়। নবম ওয়েজবোর্ড চূড়ান্ত করার বিষয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে এই রিট আবেদন করেছিলেন মতিউর রহমান। আদালতের এ আদেশের ফলে ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণা আপাতত আটকে গেল। স্থিতাবস্থা জারির পাশাপাশি একটি রুলও জারি করেছে আদালত। শ্রম আইনের ১২৮ বিধি অনুযায়ী 'অংশীজনদের আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে' নবম ওয়েজবোর্ড চূড়ান্তকরণ এবং গেজেট জারির সুপারিশ করে তা সরকারের কছে পাঠানো কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য সচিব, শ্রম সচিব এবং নবম ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বেগম বিধি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবু নাসের স্বপন। আইনজীবী ইউসুফ আলী পরে বলেন, দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারির ফলে নবম ওয়েজবোর্ডের সিদ্ধান্তটি যে পর্যায়ে আছে ঠিক সে পর্যায়েই থাকবে। ২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এ দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছেন। দীর্ঘদিন বিষয়টি ঝুলে থাকার পর আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গত বছর ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়। এরপর গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে সরকার, যা ২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়। বিচারপতি নিজামুল হক গত ৪ নভেম্বর তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। ওই প্রতিবেদন গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হলে মন্ত্রিসভা তা পরীক্ষা করে সুপারিশ দিতে ওই সময়কার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভা কমিটি করে দেয়। নতুন সরকার গঠনের পর গত ২১ জানুয়ারির মন্ত্রিসভা বৈঠকে আগের মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মন্ত্রিসভা কমিটি করে সরকার। গত ২৫ জুলাই ওই কমিটির এক বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নবম ওয়েজবার্ডের সুপারিশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। ওই সুপারিশ এখন মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভার সম্মতি পেলেই তা গেজেড আকারে প্রকাশ করা হবে। তবে মন্ত্রিসভা কমিটি গড়ে কত শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে- সে তথ্য সেদিন প্রকাশ করেননি ওবায়দুল কাদের।