১২ সিটি করপোরেশনে পশু জবাইয়ে ২৯৪১ স্থান নির্ধারণ

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনে পশু জবাই করার জন্য প্রায় ৩ হাজার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কোরবানির ঈদের আগের সপ্তাহে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এই স্থান নির্ধারণ করে দেয়ার কথা জানানো হয়। বাংলাদেশে কোরবানির ঈদে যত্রতত্র পশু জবাই হওয়ায় বর্জ্য ছড়িয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়; পাশাপাশি বর্ষায় এই বর্জ্য নগরগুলোর পানি নামার পথ আটকে দিয়ে বিড়ম্বনাও তৈরি করে। এই পরিস্থিতি এড়াতে গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তাতে সাড়া মিলছে কম। এর মধ্যেই স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের প্রতিটিতে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ২ হাজার ৯৪১টি স্থান নির্ধারণ করে দেন। ঢাকা দক্ষিণে নির্ধারিত স্থান ৫০২টি এবং উত্তরে ২৭৩টি। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান ৪৮৭টি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৩১৪টি। অন্য সিটি করপোরেশনগুলো হলো- রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিলস্না, রংপুর ও ময়মনসিংহ। ১২টি সিটি করপোরেশনে মোট পশুর হাটের সংখ্যা ৯৬টি। সড়কে কোনো হাট না বসাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। রাস্তার ওপর কোনো পশু জবাই না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পশু জবাইয়ের বর্জ্য দ্রম্নত অপসারণের ওপরও জোর দেয়া হয় সভায়। মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থানগুলোতে প্যান্ডেল তৈরি করে দেয়া হবে, সেখানে পশু জবাইয়ের জন্য ইমাম এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাংস প্রস্তুতকারী থাকবেন। আর বর্জ্য অপসারণের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যান থাকবে, থাকবে স্যাভলন ও ফিনাইল মিশ্রিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা। বর্জ্য অপসারণের কন্ট্রোল রুমের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে বলা হয়, প্যান্ডেলগুলোতে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও থাকবে। এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহা পালন করুক এবং সুস্থভাবে ঢাকায় ফিরে আসুক- এটাই কামনা। এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকায় তা নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, 'ডেঙ্গুর বিষয়টিকে আমরা চ্যালেঞ্জ মনে করি। চ্যালেঞ্জ মনে না করলে আমরা সবাই মিলে এত বেশি... এত ডেন্সলি প্রোগ্রাম করতাম না।' 'অর্থাৎ মাঠে আমি নিজেও আছি। মশা মারার জন্য হয়তো আমি... কিন্তু উৎসাহ দেয়ার জন্য আমি কয়েকবার গেছি।' ডেঙ্গু নিয়ে আরও দেশ সমস্যায় রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'সিঙ্গাপুরের মতো দেশ; সেখানে ১৩ হাজারের মতো আক্রান্ত হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের রিপোর্ট। তারা তো মোর ডেভেলপড কান্ট্রি। তাদের তো টেকনোলজি অনেক হাই।' সুস্থ ব্যবস্থাপনা থাকলে যে কোনো সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।