এ পি জে আবদুল কালাম স্মৃতি পুরস্কারে ভূষিত শেখ হাসিনা

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং পরমাণুবিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ -এর জন্য মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীকে হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক স্থাপন করা, দেশের জনকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করা বিশেষত নারী ও শিশুদের এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ৮৪ বছর বয়সে ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই মারা যান ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে কালাম। এরপর তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রবর্তিত হয় ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স অ্যাওয়ার্ড। পুরস্কার প্রবর্তনের পর ২০১৬ সালে প্রথম এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয় মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্দুলস্নাহ ইয়ামিনকে। পরের দুই বছর এ অ্যাওয়ার্ড যায় ঘানা ও মরিশাসের প্রেসিডেন্টের হাতে। ডিপেস্নাম্যাট ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন এদিকে নেদারল্যান্ডসভিত্তিক 'ডিপেস্নাম্যাট ম্যাগাজিন' তাদের চলতি সংখ্যার প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে, যার শিরোনাম 'শেখ হাসিনা-দ্য মাদার অব হিউম্যানিটি'। গত শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগে এক অনুষ্ঠানে ম্যাগাজিনের চলতি সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। হেগে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় একটি হোটেলে এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, প্যালেস্টাইন, ইয়েমেন, মরক্কো, তিউনিসিয়া, এ্যাংগোলা, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, বসনিয়া-হার্জেগোভিনা, ভ্যাটিকান, কসোভো, ব্রাজিল, কিউবা, পেরু, চিলি, ভেনিজুয়েলা ও ইকুয়েডরের রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ান ফেডারেশন, জর্জিয়া, আর্জেন্টিনা ও আজারবাইজেনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, পোল্যান্ড ও পানামা দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ডিপেস্নাম্যাটের প্রকাশক মেইলিন ডি লারা এবং নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ম্যাগাজিনের চলতি সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করায় রাষ্ট্রদূত বেলাল ডিপেস্নাম্যাট ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। নিজেদের অর্থনীতি, পরিবেশ এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি উপেক্ষা করে শুধু মানবিক কারণে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়েছে সে সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে বর্ণনা করেন। জোরপূর্বক বাস্তুচু্যত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং মৌলিক প্রয়োজন নিশ্চিত করে দ্রম্নত তাদের নিজেদের বাসভূমিতে ফিরে যেতে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্‌বান জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। এছাড়া রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে বিচারহীনতার সংষ্কৃতি বন্ধ করার প্রতিও জোর দেন তিনি।