সড়ক টেকসইয়ে প্রযুক্তির সফলতা

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

আবেদুল হাফিজ, রংপুর
ছয়মাস যেতে না যেতে ভেঙে যেত। এজন্য সংস্কার কাজে বড় অংকের টাকা ব্যয় হতো। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নিয়মিত ছোট ছোট সংস্কার কাজে শুরু হলো গবেষণা। এক পর্যায়ে সফল হলেন প্রকৌশলীরা। উদ্ভাবন হলো টেকসই সড়ক। এতে সংস্কার কাজে অর্ধেকের কম টাকা খরচ হচ্ছে। এচিত্রটি রংপুর অঞ্চলের মহাসড়কে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্র জানায়, ১৫ সালের দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে বগুড়ার চান্দাইকোন থেকে রংপুরের অর্জন মোড় পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটার খুব খারাপ ছিল রাস্তা। বিশেষ করে রাস্তায় পাথর ও বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। ফুলে-ফেপে উঠেছিল সড়কের বিভিন্ন স্থান। এতে করে যানবাহন চলাচলে ঘটত ব্যাঘাত। সড়ক দুর্ঘটনার এটিও একটি অন্যতম কারণ হিসেবে দেখে থাকে সড়ক বিভাগে। মহাসড়ক দ্রম্নত খারাপ হওয়ার পেছনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার না করা, দক্ষ ঠিকাদারের অভাব, ওভার লোড যানবাহন চলাচল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা, সড়ক লাগোয়া ঘরবাড়িকেই দায়ী করছে সড়ক বিভাগ। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে বগুড়া সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সাদেকুল ইসলাম, রংপুর সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল আলম খান, গাইবান্ধা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান ও রংপুর সড়ক উপবিভাগ-২ এর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আখতার গবেষণা শুরু করেন। তারা বলেন, সড়কের পুরনো পাথর ও বিটুমিন ফেলে না দিয়ে পূনরায় তা মেরামত কাজে ব্যবহার করা গেলে রাস্তা মজবুতিকরণ হবে। উদ্ভাবিত নতুন প্রযুক্তি প্রথমে তারা প্রয়োগ করেন নিয়মিত ছোট ছোট সংস্কার কাজে। এতে তারা সফলও হন। পরে তারা রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বগুড়ার চান্দাইকোন থেকে রংপুরের অর্জন মোড় পর্যন্ত ১৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে সড়ক মেরামতে ৬টি প্যাকেজে ভাগ করে ১০৯ কিলোমিটার কাজ হাতে নেওয়া হয়। প্যাকেজসমূহের আওতায় ইতিমধ্যে ৮৬ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। প্রকৌশলীরা জানান, এখন পর্যন্ত তিনটি বর্ষা মৌসুম চলে গেলেও সংস্কার করা মহাসড়কের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ বিষয়টি এখন মনিটরিং করছে বাংলাদেশ সড়ক গবেষণাগার।