ঈগল নিয়ে গবেষণা

ফোনের বিল মেটাতে ফতুর হচ্ছিলেন এক বিজ্ঞানী

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে 'স্টেপ' প্রজাতির এই ঈগল পাখি

রাশিয়ার একজন বিজ্ঞানী ঈগল পাখি নিয়ে গবেষণা করেন। এই গবেষণার কারণে তিনি ফতুর হতে যাচ্ছিলেন। কারণ ফোনের বিল দিতে গিয়ে রীতিমতো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল তার। গবেষণায় তিনি মোট ১৩টি ঈগল পাখির পায়ে তাদের গতিপথ দেখার জন্য 'ট্র্যাকিং ডিভাইস' বসিয়েছিলেন। যে ডিভাইস তার মোবাইল ফোনে 'টেক্সট মেসেজ' (এসএমএস) পাঠায়। এই মেসেজের বিলই চিন্তায় ফেলেছিল বিজ্ঞানীকে। রাশিয়া ও কাজাখস্থান থেকে পাখিগুলোর গতিপথের ওপর নজর রাখা শুরু করেন তিনি। কিন্তু মুশকিল হলো, পরিযায়ী এই ঈগল পাখিগুলোর মধ্যে একটি নারী ঈগল শুধু রাশিয়া ও কাজাখস্থানের সীমান্ত পর্যন্ত উড়েই ক্ষান্ত হয়নি। সে সুদূর আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও ইরান পর্যন্ত ভ্রমণ করেছে। বাকি সবগুলোর বিলসহ তাতেই বিপদে পড়েছেন বিজ্ঞানী। দেশের ভেতরে ফোন বিল এক রকম। কিন্তু দেশের বাইরে গেলেই রোমিং চার্জ আরোপ করে বিশ্বের সব মোবাইল ফোন কোম্পানি। কাজাখস্থানে এসএমএস খরচ হিসাবে দিতে হয় ২ থেকে ১৫ রুবল পর্যন্ত। কিন্তু ইরান থেকে রোমিং চার্জসহ সেটি গিয়ে দাঁড়ায় ৪৯ রুবল। 'ওয়াইল্ড অ্যানিমল রিহ্যাবিলেটশন সেন্টার' নামের স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার এই বিজ্ঞানী ও তার সঙ্গীরা আর কোনো উপায় অন্তর না দেখে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। সেখান থেকে এক লাখ রুবল পর্যন্ত অর্থ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লোকজন এই ক্যাম্পেইনের নাম দিয়েছে 'টপ আপ দি ঈগল মোবাইল'। তবে তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে মোবাইল ফোন কোম্পানি 'মেগাফোন'। তারা প্রথমত যে বিল তৈরি হয়েছে, তা মওকুফ করার ঘোষণা দিয়েছে এবং বিজ্ঞানীদের প্রকল্পের ভবিষ্যৎ বিল কম খরচে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। 'স্টেপ' প্রজাতির এই ঈগল পাখি মূলত রাশিয়া ও মধ্য এশিয়াতে পাওয়া যায়। তবে বিদু্যতের তারের কারণে তারা ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে। এই ঈগল সাইবেরিয়া ও কাজাখস্থানে বংশ বিস্তার করে এবং শীতের মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে উড়ে আসে। শুধু একটি পাখির কারণে যদি এমন পকেট খালি হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, তাহলে ১৩টি পাখি যদি ইরান গিয়ে পৌঁছাত, তাহলে কী ঘটত, সেটি ভেবে দেখুন তো? সংবাদসূত্র : বিবিসি নিউজ