আসন্ন জাতীয় সংসদ নিবার্চন : হলে কী? না হলে কী?

ছোট ছোট দলগুলো নিবার্চন করতে চায়। এটি আওয়ামী লীগের জন্য আশীবার্দ। বিএনপি-জামায়াত নিবার্চন বজর্ন করলেই ছোট দলগুলো নিবার্চন করে সংসদে আসতে পারে। বতর্মান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রবিরোধী দল বাদে অন্য সব দল নিয়ে একটা মহাজাতীয় কনভেনশন করা উচিত। জাতীয় ঐক্যের জন্যও ওই কনভেনশন প্রয়োজন।

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০১৮, ১৯:১২

ড. ইশা মোহাম্মদ
বছরের শেষ নাগাদ জাতীয় সংসদের নিবার্চন হবে। তফসিল ঘোষণার তারিখও অনেকটা ঘোষিত। কিন্তু নিবার্চন কমিশনের প্রস্তুতি আর রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি সাযুজ্যপূণর্ নয়। কেবলমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কারোরই পূণর্ প্রস্তুতি নেই। ছোট দলগুলো নিবন্ধনের জন্য বহু অনুরোধ উপরোধ করেছে, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তারা এখন ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা হয়ে গেছে। বড় দলের লেজুড়বৃত্তি করা ছাড়া তারা আর কোনো আদশের্র কথা বলতেই পারবে না। কিন্তু তারা রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেছে কেবলমাত্র আদশের্র কথা বলে। নইলে তাদের নতুন করে ‘রাজনীতিক’ হওয়ার ঘোষণা মূল্যহীন। বড় দলগুলোর রাজনৈতিক মতাদশর্ তাদের সঙ্গে মিলে গেলে কেন আবার দল গঠন? নিবার্চন হবে তাহলে সেই পুরনো বৃত্তে। নতুন কিছুই হবে না। তাহলে নিবার্চন দিয়ে লাভ কী? গতবার বলা হয়েছিল, নিয়ম রক্ষার নিবার্চন। নিছক নিয়ম রক্ষার জন্য নিবার্চন হওয়া কি উচিত। কত টাকা ব্যয় হয়? তার চেয়ে ভালো হয়, যারা ক্ষমতায় আছে তাদেরকে তেল-সিঁদুর মাখিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া। বতর্মান মডেলে নিবার্চন হলে তো তারাই আবার জিতবে। আর যারা নিবার্চন বয়কট করবে তারা বয়কটের প্রস্তুতির সঙ্গে নাশকতার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। তারা নাশকতা শুরু করার আগেই শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিলে প্রাণহানি ও ক্ষতির পরিমাণ কমবে। অহেতুক প্রাণহানি শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। নিবার্চনের ফল যদি পূবাের্হ্ন জানা যায় তবে অহেতুক অপচয় কাম্য নয়। জাতীয় নিবার্চনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে, এমনটি আশা করে যদি নিবার্চনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়, তবে দুবর্লদের জন্য সংসদে ‘স্থান’ রাখতে হবে। আর যদি দেখা যায় সব বিরোধী দল একসঙ্গে হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দঁাড়িয়ে নিবার্চন করছে তবে উন্নয়ন ধারা বজায় রাখার জন্য আওয়ামী লীগকে জাতীয় যুক্তফ্রন্টের রাজনীতিক কৌশল ব্যবহার করতে হবে। নইলে পরাজয় ঠেকাতে পারবে না। পরাজয় নিশ্চিত হলে নিবার্চন পিছিয়ে দেয়াই ভালো। রাজাকার আলবদর আল শামস-এর হাতে দেশ তুলে দেয়ার চেয়েও নিবার্চন না দেয়াই ভালো। জাতীয় নিবার্চন যথাসময়ে হবে এ কারণে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার। কোন গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা? যে গণতন্ত্রের মাধ্যমে বিদেশিরা দেশ দখল করতে পারে, সে গণতন্ত্রের তো দরকার নেই। আমরা উন্নয়নের গণতন্ত্র চাইÑ দেশকে বিদেশ করার গণতন্ত্র চাই না। রাষ্ট্রেরও উচিত নয়, তেমন নিবার্চন দেয়া। বরঞ্চ নিবার্চনের আগেই সংবিধান সংশোধন করার ব্যবস্থা নেয়া উচিত। সংবিধানকে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ তৈরির কানুনে সংশোধন করা উচিত। এককক্ষ বিশিষ্ট সংসদে কোনো ‘আদশর্’ থাকার সুযোগ নেই। যেই সরকার গঠন করুক না কেন, সংসদ স্বৈরী হয়ে যায়। কোনো সদস্যেরই স্বাধীনতা থাকে না। তাছাড়া সংসদ এখন বুজোর্য়াদের সংগঠনে পরিণত হয়েছে। সেখানে সবাই ‘বুজোর্য়া’। বড় লজ্জার কথা। আইন প্রণয়ন সম্পকের্ ন্যূনতম জ্ঞান আছে কি-না সন্দেহ। এই সংসদ মানুষের কি কল্যাণ করবে? নিবার্চনের আগেই যদি সংসদের খোল নলচে, পাল্টে দেয়া যায়, তবে ভালো হয়। সম্ভবত তা হবে না। তাহলে মূল্যহীন নিবার্চন করে কি হবে? নিবার্চন গ্রহণযোগ্য করার জন্য আবার বিএনপির নেতাকমীের্দর তোয়াজ খাতির করতে হচ্ছে। তোয়াজের শতের্ নিলর্জ্জও হতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে কি এত নিচে নামার দরকার আছে? বিএনপিকে না নিলে গণতান্ত্রিক সাবর্জনীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে না। এরকম একটা ভুল ধারণা আওয়ামী লীগের আবাদি বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে কাজ করছে। বুজোর্য়া ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা সব সময়েই শ্রেণি কাঠামোর মধ্যেই সমাধান খেঁাজে। এটাই তাদের সীমাবদ্ধতা। আওয়ামী লীগ বিএনপি দুটোই বুজোর্য় সংগঠন। ঘুরে ফিরে এরাই তারাই? আর কেউ কি নেই বাংলাদেশে? ভাবতে হবে, বিএনপি প্রত্যাখ্যাত। তারা মৌলবাদী সখ্যতায় কলুষিত। তাদেরকে আওয়ামী লীগও তো প্রত্যাখ্যান করতে পারে। কেন করে না? গত চালানে বিএনপি নিজেই নিবার্চন না করে দূরে থেকে ভালোই করেছে। এবার আওয়ামী লীগের উচিত হবে তাদের কৌশলে দূরে রাখা। তেল সিঁদুর মাখিয়ে নিবার্চনে নিয়ে আসা নয়। যারা দেশের শত্রæ তারা গণতান্ত্রিক নিবার্চনে অংশ নিয়ে দেশ দখল করার পঁায়তারা করবে কেন? বাংলাদেশে কোনো মৌলবাদী কিংবা মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক রাজনীতি করতে পারবে না। এরকম একটা আইন করার সাহসও শেখ হাসিনার নেই। তারা নিজেরাই যখন বলছে, নিবার্চন করবে না, তখন তাদের ইচ্ছাই যাতে পূরণ হয়, সেটাই করতে হবে। বিশ্বব্যাপী প্রচার দরকারÑ সাবর্জনীন অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। সে জন্য একটা বিশেষ বিকল্প আছে। অনেক ছোট ছোট দল নিবার্চন করতে চায়। কিন্তু নিবন্ধন নেই। এরা দেনদরবার করেই যাচ্ছে। এদের সংখ্যা অনেক। এদের মধ্যে যারা নাশকতায় জড়িত নয়, যারা দেশদ্রোহী নয়Ñ এবং উন্নয়নে বিশ্বাসীÑ তাদেরকে হঠাৎ সিদ্ধান্তে নিবার্চনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়া। যারা নিবার্চন কমিশনে ধনার্ দিচ্ছে তাদেরকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ‘গোল টেবিল’ করতে পারেন। তাদের বক্তব্য মন দিয়ে শুনতে পারেন। তাদের দাবি অনুসারে অন্তত একবার নিবার্চনে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিয়ে তাদের সমথর্ক সংখ্যা জানা-বোঝার সুযোগ করে দিতে পারেন। জাতীয় ক্রাইসিস পয়েন্টে রাষ্ট্রপতির বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আছে। আওয়ামী লীগ যদি দেখে যে নিবার্চনকে গ্রহণযোগ্য করতে কুকুর-বেড়ালের পায়ে ধরতে হচ্ছে, তবে কৌশল বদল করাই ভালো। গণরাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের জনসাধারণের হাতে পায়ে ধরাই ভালো। অসংখ্য যে ছোট দলগুলো আছেÑ তা মূলত সাধারণ মানুষেরই দল। কয়েকজন এজেন্ট আছে। এদেরকে শনাক্ত করা খুবই সহজ। এদেরকে রাজনীতির বাইরে নেয়াও কঠিন না। যারা ইতোমধ্যে শনাক্তকৃত তারা বাদে বাকিদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপও করা যায়। মহাজোট জাতীয় মহাজোটও হতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হবে গোলটেবিল মাকার্ সংলাপ যদি আওয়ামী লীগ না করে রাষ্ট্রপতি নিজের উদ্যোগেই করেন। যাদের নিবন্ধন আছে তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন নেই। মনে রাখতে হবে, বিএনপি-জামায়াতকে নিবার্চনের বাইরে রাখা খুব একটা সহজ কাজ না। তারা সময়মতো ঝঁাপিয়ে পড়বে, কিংবা উচ্চমাত্রার নাশকতা করবে। কিন্তু যদি অসংখ্য ছোট ছোট দল নিবার্চনে অংশ নেয় তবে ‘নাশকতা’ সাধারণ মানুষই প্রতিহত করবে। আওয়ামী সুশীল সমাজের ধারণা হয়েছে, বিএনপি নিবার্চন করলেই সব ল্যাঠা চুকে যাবে। কিন্তু বিএনপি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে থেকে গেলে জাতির যে মৌলিক ক্ষতি হবে, সেটা তলিয়ে দেখছে না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিল জাতির পিতাকে হত্যা করে। ক্ষমতা সুসংহত করেছিল অসংখ্য হত্যা করে। রাজনীতিক কেনাবেচা করে রাজনৈতিক দল তৈরি করেছিল এবং সারাক্ষণ পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিল। এই পাকিস্তানি এজেন্ট ছাড়া কেন বাংলাদেশ চলবে না? তারা থাকলেই ভবিষ্যতে আরও বড় খুন-খারাপি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করবে। তাদের শীষর্ নীতি-নিধার্রকরা বিশ্বাস করে ষড়যন্ত্র করেই ক্ষমতায় যেতে হবে। এরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে না থাকলেই ভালো হয়। আওয়ামী লীগ প্রকৃত জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল। সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির সঙ্গে জাতীয় পুঁজির মূল দ্ব›দ্ব, সেখানে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দলের জাতীয় ভূমিকা থাকে। বাংলাদেশে বিএনপি জাতীয়তাবাদী হিসেবে নিজেকে এতভাবে প্রচার করেছে যে, আওয়ামী লীগই যে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী তা সাধারণ মানুষকে বোঝানোই যাচ্ছে না। ফলে বিএনপির সঙ্গে অঙ্গ দিয়ে লুকিয়ে থাকা মৌলবাদী ও দেশদ্রোহীদেরকেও দেখিয়ে দেয়া যাচ্ছে না। বিএনপি সুনিদির্ষ্ট প্রক্রিয়ায় অন্তলীর্ন হচ্ছে। বাইরের খোলস যেমন শতধা ছিন্ন হয়েছে, তেমনি ভেতরের কাঠামোও খান খান হয়ে গেছে। আওয়ামী পÐিতরা বুঝতেই পারছে না যে, এটি সামাজিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ারই পরিণতি। বিএনপির ধ্বংস যদি দেশদ্রোহীদের ধ্বংসের শতর্ হয় তবে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কেন বিএনপির জন্য ‘মাতম’ করবে। বরঞ্চ উচিত হবে বিএনপির কুলখানির ব্যবস্থা করা। একসময় ধারণা করা হত, গণতন্ত্রের জন্য বিএনপির বেঁচে থাকার প্রয়োজন। কিন্তু এখন বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির চোখ ফুটেছে। তারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। তারা তৃতীয় শক্তি হিসেবে বিকশিত হতে পারে। বিএনপির ধ্বংসের মধ্যদিয়ে তারা দ্বিতীয় বিকল্প হতে পারবে। বাম প্রগতিশীল জোটের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের গণতান্ত্রিক স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলা এবং একই সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদের এবং পাকিস্তানের এজেন্ট বিএনপি-জামায়াতকে নিমূর্ল করার সামাজিক রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করা। সময়টা এখন ভালো। অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক পদ্ধতির সুযোগ নিয়ে বাম প্রগতিশীল জোট সংসদে যেতেও পারে সরকারেও থাকতে পারে। বামরা জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে জাতীয়তাবাদ আরও শক্তিশালী হবে। সামাজিক, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংস ও প্রাগ্রসর রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের অঁাতাত কত বিধ্বংসী হতে পারে তার নমুনা তো দেখাই যাচ্ছে। কিন্তু তাদের তাÐবের বাড়াবাড়ির জন্য আওয়ামী অপয়াশক্তিও দায়ী। অনুপ্রবেশকারীরা বহুদিন থেকেই আওয়ামী লীগে আছে। তাদের চেনাজানার পরও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে ছাত্রলীগ যুবলীগ এমনকি আওয়ামী লীগও তাদের কুকমের্র জন্য কালিমালিপ্ত হচ্ছে। আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন বিএনপিকে ‘চাননগর’ দেখিয়ে দেয়া। দুটি কাজ একই সঙ্গে করতে হবে। প্রয়োজনে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয়সাধন করে, তাদেরকে সংসদে এনে বহুদলীয় কিন্তু অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে দেয়া। ছোট ছোট দলগুলো নিবার্চন করতে চায়। এটি আওয়ামী লীগের জন্য আশীবার্দ। বিএনপি-জামায়াত নিবার্চন বজর্ন করলেই ছোট দলগুলো নিবার্চন করে সংসদে আসতে পারে। বতর্মান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রবিরোধী দল বাদে অন্য সব দল নিয়ে একটা মহাজাতীয় কনভেনশন করা উচিত। জাতীয় ঐক্যের জন্যও ওই কনভেনশন প্রয়োজন। শত ফুল ফুটতে দাও। গণতন্ত্রের মূল নীতি এটাই। তবে গুয়ে ফুলের গন্ধ বাঙালিরা পছন্দ করে না। রাষ্ট্র যদি মনে করে ঐ দলটি নাশক নয়, তবে তার রাজনৈতিক কাজকমের্র পথ কুসুমাস্তীণর্ করা উচিত। এবারকার নিবার্চনে তথাকথিত নিবন্ধনের ব্যাপারটি উহ্য রেখে দলীত সম্প্রদায় কিংবা গরিবদের রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি করতে পারলে বিএনপি-জামায়াত বেকুব বনে যাবে। আর জাতীয় প্রয়োজনে তাদের অবলুপ্তি তো কাম্যই। বল এখন শেখ হাসিনার হাতেই। দেখি তিনি কেমন খেলেন। আশা করি বুঝতে পারলে খেলতেও পারবেন। নাশকরা খামোশ হয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই। ড. ইশা মোহাম্মদ: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক