শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিজ্ঞানের যত কথা নিউক্লিয়াস

নতুনধারা
  ৩০ মার্চ ২০২০, ০০:০০

শিক্ষা জগৎ ডেস্ক য়

নিউক্লিয়াস (ঘঁপষবঁং) হলো প্রোটোপস্নাজমের সবচেয়ে ঘন, পর্দাঘেরা এবং প্রায় গোলাকার অংশ। যা কোষের সব জৈবনিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস। লিউয়েন হুক (খবধিবহ যড়ড়শ) সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে কোষে নিউক্লিয়াস দেখতে পান এবং এর নামকরণ করেন। তিনিই এটি আবিষ্কার করেন সর্বপ্রথম। এটি ৪টি অংশে বিভক্ত।

গঠন

এর আকৃতি গোলাকার, ডিম্বাকার, নলাকার, উপবৃত্তাকার, পঁ্যাচানো থালার মতো এবং শাখান্বিত্ত হতে পারে। রাসায়নিকভাবে নিউক্লিয়াস মূলত প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড দ্বারা গঠিত। এতে অন্যান্য উপাদানও থাকে। যেমন- প্রোটিন (চৎড়ঃবরহ), আরএনএ (জঘঅ), ডিএনএ (উঘঅ)। সিভকোষ বা লোহিত রক্তকণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে না। নিউক্লিয়াসে বংশগতির বৈশিষ্ট্য নিহিত। এটি কোষে সংঘটিত বিপাকীয় কার্যাবলিসহ সব ক্রিয়া-বিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। সুগঠিত নিউক্লিয়াসে নিচের অংশগুলো দেখা যায়-

নিউক্লিয়ার ঝিলিস্ন বা নিউক্লিও পর্দা

উচ্চমানসম্পন্ন মাইক্রোস্কোপ এ দৃশ্যমান নিউক্লিয়াসকে ঘিরে রাখে যে ঝিলিস্ন তাকে নিউক্লিয়ার ঝিলিস্ন বলে। এটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট ঝিলিস্ন। এ ঝিলিস্ন লিপিড ও প্রোটিনের সমন্বয়ে গঠিত। এ ঝিলিস্নতে মাঝেমধ্যে কিছু ছিদ্র থাকে একে নিউক্লিয়াররন্ধ্র বলে। এই ছিদ্রের মাধ্যমে কেন্দ্রিকা ও সাইটোপস্নাজমের মধ্যে কিছু বস্তু চলাচল করে। এই ঝিলিস্ন সাইটোপস্নাজম থেকে কেন্দ্রিকার অন্যান্য বস্তুকে পৃথক করে ও বিভিন্ন বস্তুর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে।

নিউক্লিয়ার ঝিলিস্ন বা নিউক্লিও পর্দার কাজ

নিউক্লিয়াসকে রক্ষণাবক্ষেণ করা এর প্রধান কাজ। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ অঙ্গানুগুলোকে সাইটোপস্নাজম থেকে পৃথক করে রাখে।

নিউক্লিওপস্নাজম

কেন্দ্রিকা ঝিলিস্নর অভ্যন্তরে জেলির মতো বস্তুকে বা রসকে কেন্দ্রকারস বা নিউক্লিওপস্নাজম বলে। কেন্দ্রিকা রসে নিউক্লিক এসিড, প্রোটিন, উৎসেচক, আরএনএ, বিভিন্ন এনজাইম, (ডিএনএ পলিমারেজ, আরএনএ পলিমারেজ, নিউক্লিওটাইড ট্রাইফসফাটেজ, নিউক্লিওসাইড ফসফোরাইলেজ, কাইনেজ, ডিহাইড্রোজিনেজ, অ্যান্ডোনিউক্লয়েজ), আরএনপি দানা, অল্প পরিমাণে লিপিড ও কিছু খনিজ লবণ থাকে।

নিউক্লিওপস্নাজমের কাজ

এখানে নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন তন্তু অবস্থান করে। নিউক্লিয়াসের রসস্ফীতি অবস্থা বজায় রাখা ও নিউক্লিয়াসের বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা।

নিউক্লিওলাস

নিউক্লিয়ার বা কেন্দ্রিকার মধ্যে ক্রোমোজমের সঙ্গে লাগানো গোলাকার বস্তুকে নিউক্লিওলাস বা কেন্দ্রিকাকাণু বলে। ১৭৮১ সালে বিজ্ঞানী ফনটানা (ঋড়হঃধহধ) সর্বপ্রথম নিউক্লিওলাস আবিষ্কার করেন। ক্রোমোজোমের রঙঅগ্রাহী অংশের সঙ্গে এরা লেগে থাকে। এরা জঘঅ ও প্রোটিন দ্বারা গঠিত। এরা নিউক্লিক এসিড মজুত করে ও প্রোটিন সংশ্লেষণ করে। নিউক্লিওলাস ক্রোমোজোমের যে স্থানটিতে লাগানো থাকে তাকে বলা হয় স্যাটেলাইট। ক্রোমোজোমের যে স্থানে নিউক্লিওলাস সংযুক্ত থাকে তাকে বলা হয় ঝঅঞ বা স্যাটেলাইট।

ক্রোমাটিন জালিকা বা নিউক্লিও জালিকা

কোষের বিশ্রামকালে কেন্দ্রিকায় কুন্ডলী পাকানো সূক্ষ সুতার মতো অংশই হলো ক্রোমাটিন জালিকা। কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা ও খাটো হয় তাই তখন তাদের আলাদা ক্রোমোজোম দেখা যায়। ক্রোমোজোমের দুটি অংশ রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে