নিউজিল্যান্ডে শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন জেসিন্ডা আরডার্ন। সোমবার নিউজহাব 'রিড রিসার্চ' প্রকাশিত জনমত জরিপে এ স্বীকৃতি অর্জন করেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের জনগণের একটা বড় অংশ বিশ্বাস করে, জেসিন্ডার ভূমিকার কারণেই নিউজিল্যান্ড কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে পেরেছে। সংবাদসূত্র :রয়টার্স
গত ৮ মে থেকে ১৬ মে'র মাঝামাঝি সময়ে জনমত জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫০ ভাগের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার পর। জরিপে জেসিন্ডার স্কোর ৫৯.৫%। আগের জরিপের চেয়ে ২০.৮ পয়েন্ট বেশি পেয়েছেন তিনি। রিড রিসার্চের জরিপ পরিচালনার ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডে এটিই প্রথম কোনো জনমত জরিপ। এতে দেখা গেছে, জেসিন্ডার লেবার পার্টিরও জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এর স্কোর ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৫৬.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। নিউজিল্যান্ডের দলগুলোর জন্য এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ স্কোর এটি। অপরদিকে, পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল 'দ্য ন্যাশনালস'র স্কোর ৩০.৬ শতাংশ।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নিউজিল্যান্ডে লকডাউন জারি ছিল। জরিপের অংশ হিসেবে কঠোর লেভেল থ্রি লকডাউনের চূড়ান্ত দিনগুলোতে মানুষের মানসিক অবস্থা কেমন ছিল, সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। ৯২ শতাংশই বলেছে, এ ধরনের লকডাউনের সিদ্ধান্ত যথার্থ ছিল। এপ্রিলের শেষের দিকে নিউজিল্যান্ডে লকডাউন শিথিল করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে শপিং মল, সিনেমা হল, ক্যাফে ও জিমনেশিয়ামও খুলে দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বে এ পর্যন্ত ৪৮ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে তিন লাখ ১৭ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সে তুলনায় নিউজিল্যান্ডে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা উলেস্নখযোগ্যভাবে কম। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৪৯৯ জন। মৃতু্য হয়েছে ২১ জনের। উলেস্নখ্য, তরুণ প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন ক্রাইস্টচার্চ হামলার পর। দেশটির দুই মসজিদে হামলার পর জেসিন্ডা যেভাবে বর্ণবাদী ঘৃণার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে সেখানকার মুসলমান সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্ম হয়ে পড়েন; দুনিয়াজুড়ে তা প্রশংসা পায়।
