করোনা আক্রান্তে বিশ্বে তৃতীয় ব্রাজিল আমাজনে প্রকোপ বাড়ছে

প্রকাশ | ২০ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যায় এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ও স্পেনকে ছাড়িয়ে গেছে ব্রাজিল। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পর দেশটি এখন বিশ্বের তৃতীয় করোনা আক্রান্ত রাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা 'ওয়ার্ল্ডোমিটার'র পরিসংখ্যানের বরাতে মঙ্গলবার এ তথ্য জানা গেছে। সংবাদসূত্র : এএফপি, রয়টার্স শনিবার ইতালি ও স্পেনকে টপকে চতুর্থ করোনা আক্রান্ত দেশে পরিণত হয় ব্রাজিল। এর তিন দিনের মাথায় মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় স্থানে পৌঁছায় দেশটি। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকায় চাপ পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর। এরই মধ্যে দেশটির বৃহত্তম শহর সাও পাওলোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র ব্রম্ননো কোভাস। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে বেডের চাহিদা বাড়ছে। পুরো স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পতনের মুখে দাঁড়িয়েছে। কোভাস আরও বলেন, 'সরকারি হাসপাতালের ৯০ শতাংশই এখন পরিপূর্ণ। সর্বোচ্চ দুই সপ্তাহ পর এগুলোতে আর জায়গা থাকবে না।' সাও পাওলো ব্রাজিলের অন্যতম করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা। সেখানে তিন হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে করোনা পরীক্ষার হার কম। এজন্য বাস্তবতার চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হচ্ছে। যথাযথ পরীক্ষা হলে আরও অনেক বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হতো। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের অর্থনীতি ফের সচল করতে মরিয়া ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই করোনার চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহারে ব্যাপক আগ্রহী ট্রাম্পের এই ব্রাজিলীয় ভক্ত। তার নীতির কারণে বিদ্যমান করোনা মহামারির মধ্যেই মন্ত্রিসভা ছেড়েছেন অন্তত দুইজন মন্ত্রী। শুক্রবার দ্বিতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বলসোনারোর কেবিনেট ছেড়ে যান। এদিকে, ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গলে বসবাসরত আদিবাসী মানুষদের মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ছে। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের বিমানে করে সরিয়ে নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে মানাউস শহরে আইসিউতে ভর্তি করা হচ্ছে। অ্যামাজন অঞ্চলে চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত বিমানে কর্মরত আছেন শিশু বিশেষজ্ঞ এডসন সান্তোস রড্রিগুয়েস। তিনি বলেন, 'কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। নদীর ওপর দিয়ে আমরা আরও বেশিসংখ্যক বিমান উড়িয়ে নিচ্ছি। তাদের জীবন বাঁচানোর এটাই শেষ সুযোগ।' ব্রাজিল সরকারের আদিবাসী স্বাস্থ্য সেবা কর্তৃপক্ষ সোমবার জানায়, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে অন্তত ২৩ জন আদিবাসী মারা গেছে। তবে আমাজন থেকে শহরে চলে যাওয়া আদিবাসীদের নিজেদের পরিসংখ্যানের আওতায় রাখেনি তারা।