বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চীনের পার্লামেন্টে হংকং নিরাপত্তা আইন পাস বড় ধরনের ভুল করছে :ট্রাম্প

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ মে ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৯ মে ২০২০, ১১:০২

স্বায়ত্তশাসিত নগর হংকংয়ে সরাসরি জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করার একটি বিলে অনুমোদন দিয়েছে চীনের পার্লামেন্ট। বৃহস্পতিবার চীনের 'ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের' দুই হাজার ৮৭৮ জন প্রতিনিধি স্ট্যান্ডিং কমিটির আনা খসড়া বিলের পক্ষে ভোট দেন। বিলটির বিপক্ষে একটি ভোট পড়ার পাশাপাশি ছয় জন প্রতিনিধি ভোটদানে বিরত ছিলেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন 'বড় ধরনের ভুল' করছে। এর জন্য শিগগিরই দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। চীন বলছে, গত বছর টানা কয়েক মাস ধরে সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সহিংসতা দেখা হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, বৈধ সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা, সন্ত্রাসবাদ ও বিদেশি হস্তক্ষেপ রুখতে এ নিরাপত্তা আইন জরুরি হয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে, সমালোচকরা বলছেন, গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীদের কণ্ঠরোধ করতেই বেইজিং এখন এ ধরনের নিপীড়নমূলক আইন চাপিয়ে দেয়ার পথ বেছে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ের 'গ্রেট হল অব দ্য পিপল'র স্ক্রিনে ভোটের ফল দেখানোর সময় এ নিরাপত্তা আইনের সমর্থকদের উলস্নাস ও হর্ষধ্বনি শোনা গেছে। হংকংয়ের 'বেসিক ল'- অর্থাৎ, মিনি সংবিধানের আর্টিকেল ২৩ অনুযায়ী, চীন সরকারের বিরুদ্ধে কোনোরকম বিদ্রোহ প্রতিহত করতে এই জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর বিধান আছে। কিন্তু এতে মানবাধিকার এবং বাকস্বাধীনতার মতো অধিকারগুলো ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কার কারণে এ আইন সেখানে কখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। হংকং সরকার এর আগে ২০০৩ সালে আইনটি চালু করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিল। রাস্তায় পাঁচ লাখ লোকের প্রতিবাদের পর ওই উদ্যোগ আর নেওয়া হয়নি। নতুন করে আইনটি চাপিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হলে গত সপ্তাহ থেকেই ফের উত্তাল হয়ে ওঠে হংকং। হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সে সব বিক্ষোভ থেকে এরই মধ্যে কয়েকশ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। হংকংয়ে নিরাপত্তা আইন কার্যকরে বেইজিংয়ের এ চেষ্টার বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সংবাদসূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে