করোনাভাইরাস :মৃতু্যতে চীনকে ছাড়াল ভারত

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতু্যতে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় দেশটি এখন উঠে এসেছে বিশ্ব তালিকায় ৯ নম্বরে। ভারতের রাজ্য সরকারগুলো এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ভারতে প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার হিসাবে চীনের (৮৪ হাজার ১০৬) চেয়ে তা প্রায় দ্বিগুণ। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এখন ভারতে প্রায় পাঁচ হাজার; আর চীনে চার হাজার ৬৩৮। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি চীনে গত ডিসেম্বরে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে। ভারতে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে। ভারতে সর্বশেষ হিসেবে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সাত হাজার ৪৬৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সম্প্রতি বিশেষ ট্রেন ও ফ্লাইটে ভারতজুড়ে নাগরিকদের চলাচল এবং লকডাউনের কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসেবে অন্য রাজ্য থেকে মানুষ আসার কথাও বলা হচ্ছে। ভারতে লকডাউন চলছে গত ২৫ মার্চ থেকে। কয়েকবার সময়সীমা বাড়ানোর পর লকডাউনের চতুর্থ ধাপ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ মে। এরপর দেশ কীভাবে চলবে, সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত আসতে পারে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। ভারতের রাজধানী দিলিস্নতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড এক হাজারের বেশি। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র নতুন দুই হাজার ৫৯৮ জনকে শনাক্তের কথা জানিয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৪৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ভারতে এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখ মানুষকে পরীক্ষা করা হয়েছে। মোট জনসংখ্যার অনুপাতে করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় ভারত শীর্ষ ১০০টি দেশের মধ্যেও নেই। এদিকে, করোনার চিকিৎসা করতে গিয়ে দেশটিতে একের পর এক স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন 'অল ইনডিয়া মেডিকেল সায়েন্স' বা এইমস-এর রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শ্রীনিবাস রাজকুমারের অভিযোগ, সংক্রমণের থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর্মীরা পর্যাপ্ত সুরক্ষা পাচ্ছেন না। ফলে সহজেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। হোস্টেল চত্বরের সুরক্ষা, জীবাণুমুক্তকরণে অব্যবস্থা, কোয়ারেন্টিন সঠিক পদ্ধতি না থাকা এবং পর্যাপ্ত পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গত মার্চ থেকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি।