সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের মৃতু্য যাযাদি ডেস্ক পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ কে? এটা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকডর্সের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হলেন যুক্তরাজ্যের বব ওয়েইটন (১১২ বছর ৫৯ দিন)। তিনি আর বেঁচে নেই। বৃহস্পতিবার তিনি ঘুমের মধ্যে মারা যান। ববের মৃতু্যর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ জাপানের চিতেসু ওয়াতানাবে (১১২ বছর ২৬৬ দিন) মারা যাওয়ার পর ফেব্রম্নয়ারিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হয়ে যান ১১২ বছর বয়সী বব। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রেদি বেস্নাম দাবি করেছিলেন, তিনি ১১৬তম জন্মদিন পালন করেছেন। কিন্তু তার বয়সের বিষয়টি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ এখনো 'ভেরিফাই' (সত্যায়িত) করতে পারেনি। বব নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে ১৯০৮ সালের ২৯ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সপ্তম। কর্মজীবনে তিনি একজন প্রকৌশলী ছিলেন। তাইওয়ান, জাপান ও কানাডায়ও কাজ করেছেন। সংবাদসূত্র : বিবিসি, এএফপি দুই সপ্তাহে জাপানে সর্বোচ্চ সংক্রমণ যাযাদি ডেস্ক গত সোমবার জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়ার কদিনের মধ্যে জাপানে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার একদিনে আরও ৬৩ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে সাত জন। ১৪ মে'র পর একদিনে এটাই সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড। নতুন আক্রান্তের ২১ জন জাপানের দক্ষিণের শহর কিতাকিউশুর। ২৩ দিন ধরে সেখানে আক্রান্তের হার শূন্য ছিল। তারপর আবারও বাড়তে শুরু করেছে। গত ছয় দিনে নতুন ৪৩ জন আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা জেগেছে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত বেড়ে হলো ১৭ হাজার ৪৩১ জন এবং মৃতু্য ৮৮৭ জনের। এদিকে, ১ জুন মধ্যরাত থেকে জাপানের রাজধানী টোকিও দ্বিতীয় ধাপে খুলবে। এই ধাপে স্কুল, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, জিম, থিয়েটার, শপিং মল ও অন্য অপ্রয়োজনীয় খুচরা দোকানপাট খুলবে। রেস্তোরাঁ এখনো রাত ১০টায় বন্ধ করতে বলা হয়েছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স শিথিল হলেও ঘরেই থাকছে ব্রিটিশরা যাযাদি ডেস্ক লন্ডনের 'কিংস কলেজের' নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লকডাউন শিথিল করলেও ব্রিটিশ জনগণ ঘরেই থাকছে। কলেজের পলিসি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ববি ডাফি বলেন, ''ব্রিটিশ সরকারের পরামর্শ সম্ভবত 'সতর্ক থাকুন' হিসেবে স্থানান্তর হয়েছিল। কিন্তু এখনো 'ঘরে থাকুন' বার্তাটিই মেনে চলছে জনসাধারণ।" গবেষণায় উঠে এসেছে, আগের সপ্তাহে প্রতি সাত জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন একবারের বেশি বাড়ির বাইরে যায়নি। ৪১ শতাংশ জনগণ গত সাত দিনে পাঁচ বা তার বেশিবার বাইরে বের হয়নি। ডাফি বলেছেন, এই পরিসংখ্যান বলছে, 'কোভিড-১৯ সংকটকে কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ব্রিটিশরা।' অনেক বেশি মানুষ মাস্ক পরছে বলে জানিয়েছে গবেষক দল। ছয় সপ্তাহ আগের চেয়েও দ্বিগুণ হারে বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার। এখন পর্যন্ত করোনায় প্রায় দুই লাখ ৬৯ হাজারের বেশি ব্রিটিশ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৩৭ হাজারের বেশি। বর্তমানে আক্রান্ত আর মৃতু্যর হার কমছে চোখে পড়ার মতো। বৃহস্পতিবার একদিনে মৃতু্য হয়েছে ২৫৬ জনের। সংবাদসূত্র : রয়টার্স চার্চে যাবেন না ওটা 'মৃতু্যফাঁদ' যাযাদি ডেস্ক দেশবাসীকে চার্চে গিয়ে ফাঁদে না পড়তে সতর্ক করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারবিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা জুলিয়াস মালেমা। সেখানে গেলে করোনাভাইরাসে মৃতু্য হতে পারে বলে জানিয়েছেন 'ইকোনমিক ফ্রিডম ফাইটার্স' দলের নেতা। দেশের জনগণের ভালো চাইলে ধর্মীয় নেতাদের চার্চ না খুলতে আহ্বান জানান মালেমা। একই সঙ্গে 'এটি ফাঁদ' হিসেবে উলেস্নখ করে নিজ দলের সদস্যদের ধর্মীয় উপাসনালয়ে যেতে বারণ করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নিজের রাজনৈতিক দলের মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় মালেমা এসব কথা বলেন। করোনা মহামারির মধ্যেও সরকারের ধর্মীয় উপাসনালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তিনি। কিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অনেকে চার্চকে ভাইরাসের উৎপাদনস্থল হিসেবে মনে করছেন। ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে মালেমা বলেন, 'ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আমার অনুরোধ, তারা যেন তাদের প্রতিষ্ঠান না খোলেন। আপনারাই বলবেন, যেন চার্চে কেউ না আসে। আমি বলছি, চার্চে কেউ যাবেন না, আপনারা মরতে যাচ্ছেন। এটা একটা ফাঁদ।' বিবিসি