ব্রিটিশ গবেষকের তথ্য

তামার প্রলেপ দেওয়া বস্তুতে করোনা প্রাণ হারায়

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
লোহা ও পস্নাস্টিকের ওপর করোনাভাইরাস তিনদিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। তবে তামার ওপর পড়লে মাত্র চার ঘণ্টায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটি নিজেই প্রাণহীন হয়ে যায়। এ কারণে করোনা মহামারি প্রতিরোধে দরজার হাতল, সিঁড়ির হ্যান্ডরেইল ও শপিংট্রলির হাতলে তামার প্রলেপ দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের এক গবেষক। সংবাদসূত্র : ডেইলি মেইল প্রায় দুই দশক ধরে তামার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন 'ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটন'র সিনিয়র মাইক্রোবায়োলজিস্ট উইলিয়াম কেভিল। তিনি শনিবার ব্রিটিশ দৈনিক 'দ্য টাইমস'কে বলেন, করোনায় আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি হাতের ওপর হাঁচি-কাশি দেয়ার পর সেই হাত দিয়ে অন্য কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে স্পর্শ করার মাধ্যমেই ভাইরাস ছড়ায়। রোগীর স্পর্শ করা বস্তু স্পর্শের পর সেই হাত মুখে দিলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। ভাইরাসটি মানুষের চোখ, নাক ও মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে, চামড়ার ভেতর দিয়ে নয়। এ কারণে বাড়িঘর, গণপরিবহণে দরজার হাতলগুলোতে তামার প্রলেপ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এ গবেষক। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস যখন তামার ওপর পড়ে তখন এর ধাতব আয়নগুলো ভাইরাসের লিপিড মেমব্রেনকে আক্রমণ করে এবং ভাইরাসের কোষে প্রবেশ করে এর ডিএনএ ধ্বংস করে দেয়। অর্থাৎ, ভাইরাসটিকে পুরোপুরি মেরে ফেলে। অধ্যাপক কেভিল জানান, পোল্যান্ডের বাসগুলোতে এরই মধ্যে তামার প্রলেপযুক্ত হাতল বসানো হয়েছে। চিলি-ব্রাজিলের বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কিয়স্কগুলোও তামার প্রলেপযুক্ত। তার মতে, ভাইরাস নির্মূলে ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টের স্ক্রিন ও ক্যাশ মেশিনগুলোতে তামার প্রলেপ দেয়া উচিত। এছাড়া জিমে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতিতেও এই ধাতব প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যাবে।