চীন-ভারত দ্বন্দ্ব :বেইজিংকে পম্পেওর হুঁশিয়ারি

প্রকাশ | ০৩ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মাইক পম্পেও
লাদাখ সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীন অনবরত সেনা মোতায়েন করে যাচ্ছে উলেস্নখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকাররাই এ ধরনের কর্মকান্ড করে থাকে। এইআইর 'হোয়াট দ্য হেল ইজ গোয়িং অন' অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি চীনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি সম্প্রতি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে কেন্দ্র করে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। চীন ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের পানিসীমা ও আকাশসীমা লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে। লাদাখ ও উত্তর সিকিমে দুই দেশই সেনা ও সমরাস্ত্রের সংখ্যা উলেস্নখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়েছে। লাদাখের কাছে বিমানঘাঁটিও তৈরি করেছে চীন। এর মধ্যেই গত ২৭ মে ভারত ও চীনের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরোক্ষভাবে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের খবর প্রকাশ করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। চীনও এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার এইআইর মার্ক থিয়েসেন ও ড্যানিয়েল পেস্নটকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চীন-ভারত উত্তেজনাসহ বিভিন্ন ইসু্যতে বেইজিংয়ের সমালোচনা করেন পম্পেও। তিনি বলেন, 'এমনকি আজও আমরা দেখেছি ভারতের উত্তরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চীন সেনা মোতায়েন জোরদার করছে। তার বক্তব্যে উঠে এসেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কথাও। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি করোনা মহামারি সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে বলে দাবি করেন তিনি। পম্পেও বলেন, হংকংয়ের মানুষের স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছে চীন।' এক প্রশ্নের জবাবে পম্পেও বলেন, ভারতের সীমান্ত কিংবা হংকং কিংবা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ থেকে দেশটির আচরণের ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তার দাবি, চীনের আচরণের প্রভাব কেবল সে দেশে ও হংকংয়ে বসবাসকারীদের ওপরই নয়, সারা বিশ্বের মানুষের জীবনের ওপর পড়ছে। তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং ক্ষমতা রয়েছে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। এবং এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, মার্কিন নাগরিকরা যথাযথ পররাষ্ট্রনীতির পরিষেবা পাচ্ছে। এটি আজকের দিনে চীনের হুমকিকে চিহ্নিত করে ফেলেছে।' পম্পেও আরও বলেন, 'এটা কেবল ছয় মাসের ব্যাপার নয়। গত কয়েক বছর ধরে চীন যেভাবে সেনা সমাবেশ বাড়াচ্ছে, তা আমরা লক্ষ্য করেছি। ক্রমাগত আক্রমণাত্মক চেহারা নিচ্ছে সেটা। আমি ভারতের কথা বলছি।'