ফ্লয়েড হত্যাকান্ড :অধিকাংশ মার্কিনি বিক্ষোভের পক্ষে

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃতু্যর ঘটনার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান বিক্ষোভের প্রতি দেশটির বেশিরভাগ মানুষের সহানুভূতি আছে বলে এক জরিপে দেখা গেছে। বিক্ষোভ মোকাবেলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ মার্কিনির অনাস্থার তথ্যও এতে উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের করা এ যৌথ জরিপের ফল মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদসূত্র : রয়টার্স সোম ও মঙ্গলবার চালানো এই জরিপে অংশ নেয়া ৬৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিনি জানিয়েছেন, তারা জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে চলমান আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল। জরিপে অংশ নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের ২৭ শতাংশ নাগরিক গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন; বিক্ষোভের পক্ষে না বিপক্ষে থাকা উচিত, এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন ৯ শতাংশ মার্কিনি। মিনিয়াপোলিসের শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রায় ৯ মিনিট ধরে ৪৬ বছর বয়সী ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে রাস্তার সঙ্গে চেপে ধরে রেখেছেন, এ রকম একটি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর উত্তাল হয়ে ওঠে। গ্রেপ্তারের সময় ফ্লয়েডকে ওইভাবে মাটিতে চেপে ধরার কারণে দমবন্ধ হয়ে তার মৃতু্য হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনগুলোকে জানানো হয়েছে। যে পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে ফ্লয়েডকে মাটিতে চেপে ধরেছিলেন, তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জরিপে বিক্ষোভ দমনে 'হার্ডলাইন' নেওয়া এবং সহিংসতা নিরসনে সেনা মোতায়েনের হুমকি দেওয়ায় ট্রাম্পের জনসমর্থন কমছে বলেও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব পদক্ষেপ তার পুনর্র্নিবাচিত হওয়ার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলেও অনেকে মনে করছেন। এমনকি যেসব গ্রাম ও শহরতলিতে এখনো বিক্ষোভের আঁচ পড়েনি, সেখানকার বেশিরভাগ মানুষও প্রতিবাদকারীদের পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। জরিপে অংশ নেয়া অর্ধেকেরও বেশি গ্রামীণ অধিবাসী বলেছেন, তারা বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল; একই অবস্থান শহরতলির প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাত জনেরই। এদিকে রিপাবলিকানদের মধ্যেও ট্রাম্পকে নিয়ে অসন্তোষ বেড়েছে। রিপাবলিকানদের মধ্যে ৮২ শতাংশ প্রেসিডেন্টের সব কাজে সন্তুষ্ট হলেও, বিক্ষোভ মোকাবিলায় ট্রাম্পের প্রতি আস্থা রেখেছেন জরিপে অংশ নেয়া মাত্র ৬৭ শতাংশ রিপাবলিকান। রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্টকে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মুখোমুখি হতে হবে। রিপাবলিকান কিংবা ডেমোক্রেট কোনো দলই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত না করলেও, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রাইমারি ও ককাসের ফলে নভেম্বরে যে বাইডেন-ট্রাম্প দ্বৈরথই দেখা যাবে, তা অনেকটাই নিশ্চিত।